ভৈরব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার পশু জবাইয়ের সুনির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় যেখানে সেখানে খোলা জায়গায় পশু জবাইয়ের পাশাপাশি অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চলছে মাংস বেচাকেনা। পশুর রক্ত আর বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। রোগাক্রান্ত পশুর মাংস বিক্রি হয় বলেও অভিযোগ পৌরবাসীর।
এমন অনিয়মের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকেই দায়ি করছেন পৌরবাসী। তবে স্থান নির্ধারণের কথা জানিয়ে পৌর মেয়র জানালেন, কিছুদিনের মধ্যেই কসাইখানা নির্মাণ করা হবে।
দেড়শ’ বছরের পুরোনো কিশোরগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় নেই কোনো কসাইখানা। প্রতিদিন বিভিন্ন বাজারের উন্মুক্ত স্থানে জবাই করা হচ্ছে শতাধিক গরু-ছাগল। পশুর রক্ত-বর্জ্যরে দুর্গন্ধে নাজুক অবস্থায় রয়েছে শহরের তিনটি বাজারের পরিবেশ।
নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশেই বিক্রি করা হচ্ছে মাংস। কসাইদের অভিযোগ, খাজনা নিলেও কসাইখানার ব্যবস্থা করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ।
রুগ্ন গরু-ছাগলের মাংস বিক্রি হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ তা তদারকি করছে না। কসাইখানা স্থাপনের বিষয়টিও আমলে নেয়া হচ্ছে না বলে জানালেন পরিবেশবিদ জুয়েল মিয়া ও পরিবেশ রক্ষা মঞ্চের সভাপতি শরীফ আহমেদ সাদী।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বললেন, জবাইয়ের আগে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি।
এদিকে, পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ জানালেন, কসাইখানার স্থান নির্ধারণ হয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
দ্রুত কসাইখানা নির্মাণের ব্যবস্থা করে কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা পৌরবাসীর।
অনলাইন ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন