নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনপদগুলোতে কৃষিকাজ বা মাছ ধরার পাশাপাশি বড় পেশা ছিল সাম্পানের মাঝি হওয়া। তাই একসময় বিপুল জনগোষ্ঠীর জীবিকার অবলম্বন ছিল সাম্পান। সেই বাস্তবতা কালক্রমে অনেক পাল্টেছে। তবে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে আধুনিকায়ন ও নদী পারাপারে বিকল্প সুবিধা সৃষ্টির পরও চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক জীবন ধারায় সাম্পানের গুরুত্ব আজও ব্যাপক।
হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্পান মূলত কায়িক শ্রমে পরিচালিত হতো। অনেক ভারী ভারী সব পণ্য পবিহণের মাধ্যম ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাম্পান।
শত বছর আগের একটি সাম্পানে ৫ জন যাত্রী ধরতো। জনসংখ্যার চাপ বাড়লে সাম্পানের আকৃতিও বড় করতে থাকে কারিগররা। ১৫/২০ জন বা এক’শ মনের বেশী পণ্য পরিবহনে সক্ষমতা অর্জন করে। বংশ পরম্পরায় সাম্পান কেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহ করে এ অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার। পরে এ অঞ্চলে নানান কাজের জন্য ভিন্ন ধরনের নৌযান উদ্ভাবনের মূল প্রেরণাও সাম্পান।
সড়ক পথে যোগাযোগ সহজ হলে সাম্পানের চাহিদা নিুমুখী হতে থাকে। তবে সেই প্রভাক এখনও পড়েনি কর্ণফুলী-সাঙ্গু নদী ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর সাগরদ্বীপ গুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থায়। কর্ণফুলী নদীর পোতাশ্রয়ে থাকা অসংখ্য জাহাজ কিংবা বহিঃনোঙ্গর বা উপকুলের যাতায়তে সাম্পানই একমাত্র বাহন হয়ে আছে।
সাম্পানের আকৃতিতে কিছু পরিবর্তন আসরেও কাঠামোতে আসেনি। নদী পারাপার, দূরগন্তব্যে যাওয়া এবং মধ্য নদীতে দাড়িয়ে থাকা নিঃসঙ্গ জাহাজে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এখনও সাম্পান। দুর্যোগে এবং কমগভীর পানির অনেক উজান পর্যন্ত সহজে চলতে পারে সাম্পান।
হাজার বছর ধরে মাঝি-মাল্লার দৈহিক শ্রমে পরিচালিত সাম্পানে লেগেছে শ্যালো ইঞ্জিন। আরও আধুনিকতার ছোয়া লাগার অপেক্ষায় কর্ণফুলী নদীর সাম্পান।
এ অঞ্চলের অর্থনীতির সাথে সাম্পানে সম্পর্ক নিবীড়। বহমান নদীর সাম্পান উপকুলীয় জনপদের মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন।
এস.এম.সুমন: গুলিস্তানে মুক্তিযোদ্ধা...
বিস্তারিতএস.এম.সুমন: মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া...
বিস্তারিতএস এম সুমন: স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন