ডেস্ক প্রতিবেদন: ঈদের বাঁকি আর মাত্র একদিন। গণপরিবহন বন্ধ, তারপরও কেউ পায়ে হেটে আবার কেউ ছোট যানবাহনে করে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুঁটছেন। ঘরমুখো যাত্রীদের স্রোত নেমেছে পদ্মার ফেরি ঘাটগুলোতে। একই চিত্র মহাসড়কেও।যাত্রীরা বলছেন, আপনজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই ঝুঁকি নিয়ে বাড়ী ফিরছেন তারা।
করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়ে প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে বাড়ী ফিরছে হাজার হাজার মানুষ। ভোরের আলো না ফুটতেই ফেরিতে যাত্রীদের ভীড় দেখা গেছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও শারীরিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি যাত্রীদের। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী ও ব্যাক্তিগত যানবাহনের চাপ আরো বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এই নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে ৯টি ফেরি চলাচল করছে।
এদিকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটেও যাত্রীদের ভীড় দেখা গেছে। শিমুলিয়া ঘাটে পদ্মা পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ’ যানবাহন। তিনদিন বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশনায় এই নৌ-রুটে চলাচলকারী ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে।
এদিকে গাজীপুরের সড়ক-মহাসড়কেও বেড়েছে মানুষের ঘরমুখো মানুষের আনাগোনা। সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
তবে সড়কে কোন গণপরিবহন না থাকায় ঘরমুখো মানুষরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। তারপরও কেউ পায়ে হেটে আবার কেউ ছোট যানবাহনে করে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুঁটছে। গন্তব্যে পৌঁছানোর বাহন ট্রাক, পিক-আপ ভ্যান ও হালকা যানবাহন। গন্তব্যে পৌঁছতে তাদের গুনতে হচ্ছে কয়েকগুন অতিরিক্ত ভাড়া।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন