তাসলিমুল আলম: সুস্থ মানুষকে প্রতিবন্ধী সাজিয়ে টাকার বিনিময়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চাকরি দেয়া হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে প্রতিবন্ধী কোটায় ১৬৫ জনের মধ্যে অন্তত ১০ জন প্রতিবন্ধী না হয়েও চাকরি পেয়েছেন টাকার বিনিময়ে। এছাড়া জেলা কোটার শর্ত লংঘন, জাতীয় পরিচয়পত্র কারসাজি করেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
শেরপুরের আতিকুর রহমান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রাপ্ত। আবেদনপত্র অনুযায়ী তিনি শ্রবন প্রতিবন্ধী হলেও, বাস্তবতা ভিন্ন। আর দশ জন স্বাভাবিক মানুষের মতই শুনতে পান।
আতিকুরের শরীরিক প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে অনুসন্ধানে তার গ্রামেরবাড়িতে যায় বৈশাখী টেলিভিশন। তিনি শ্রবণ প্রতিবন্ধী শুনে রীতিমত অবাক হয়ে যান আতিকুরের পরিচিতজনরা।
একই দপ্তরে প্রতিবন্ধী সেজে চাকরি নিয়েছেন, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামের পলাশ মিয়াও। তার পরিচিতজনরাও বলছেন, পলাশের এমন শারীরিক সমস্যার কথা জানা নেই তাদের।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে উত্তীর্ণ হয়ছেন ১ হাজার ৬৫০ জন। এর মধ্যে ১৬৫ জন প্রতিবন্ধী কোটায়। সেই তালিকার কমপক্ষে ১০ জন চাকরি নিয়েছেন ভুয়া প্রতিবন্ধী সেজে।
কৃষি বিভাগের এই নিয়োগে জেলা কোটা নিয়ে নানা অনিয়মেরও অভিযোগ আছে। শেরপুরে জেলা কোটা না থাকায়, ময়মনসিংহের ঠিকানায় আবেদন করেন মেফতাহুল জান্নাত নামের শেরপুরের এই স্থায়ী বাসিন্দা।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটা, আনসার কোটা এবং ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠী কোটার নিয়োগেও অস্বচ্ছতা রয়েছে। মানা হয়নি জেলা কোটাও। যে জেলায় ৪১ জন নিয়োগের কথা, সেখানে নিয়োগের সুপারিশে আছেন ১০৪ জন।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক আব্দুল মুঈদ, জানান, যদি ভুয়া সনদ কেউ নিয়ে থাকে, তবে তা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকেই নিয়েছে। এ অবস্থায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটিই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
ভুয়া প্রতিবন্ধীর তথ্য দিয়ে কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তরে নিয়োগ
(উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে)
১. মো. রিমন মিয়া, (শ্রবণ প্রতিবন্ধী)
গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা
২. মো. পলাশ (শ্রবণ প্রতিবন্ধী)
পিতা: হামিদুল ইসলাম
গ্রাম: চান্দপাড়া, পো: জুমার বাড়ী, উপজেলা, সাঘাটা
গাইবান্ধা
৩. মো. মমিনুল ইসলাম
পিতা: জিল্লুর রহমান
গ্রাম: বোরের ঘোন, পো. কাগইল, উপজেলা: গাবতলী, জেলা বগুড়া
৪. আতিকুর রহমান- শ্রবণ প্রতিবন্ধী (সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকারী একজন)
পিতা: মুরাদ আলী
গ্রাম. হারিন্দারা, মনসিরচর-২১০০, শেরপুর সদর, শেরপুর।
৫. মো. ফারুক হোসেন (শ্রবণ প্রতিবন্ধী)
পিতা:
ঠিকানা: ৫নং ওয়ার্ড, উলিপুর পৌরসভা, উলিপুর, কড়িগ্রাম।
পড়াশুনা: এম.এ. মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজ, উলিপুর, কড়িগ্রাম।
৬. মো. বাচ্চু মিয়া (শ্রবণ প্রতিবন্ধী)
ঠিকানা: ২নং ওয়ার্ড, বাসনা সরা, ইউনিয়ন তবকপুর, উলিপুর, কুড়িগ্রাম।
পড়াশুনা: এম.এ. মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজ, উলিপুর, কুড়িগ্রাম।
৭. মো. রেজাউল করিম (শ্রবণ প্রতিবন্ধী)
ঠিকানা: রৌমারী, কুড়িগ্রাম
পড়াশুনা: এম.এ. মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজ, উলিপুর, কুড়িগ্রাম
৮. মোঃ মাহফুজার রহমান (শ্রবণ প্রতিবন্ধী)
ঠিকানা: উপজেলা: রাজারহাট, কুড়িগ্রাম
পড়াশুনা: এম.এ. মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজ, উলিপুর, কুড়িগ্রাম
৯. মো. মোবাশ্বির হাসান (শ্রবণ প্রতিবন্ধী)
পিতা: মো. আব্দুল ওয়াহাব
মাতা: মোছাঃ শাহানাজ পারভীন
নিয়োগ রোল: ৩০০২৫৪৯০
ঠিকানা: গ্রাম: যদুবয়রা, পোষ্ট: যদুবয়রা, থানা: কুমারখালী, জেলা: কুষ্টিয়া।
১০. মো. জামিউল আলম চৌধুরী (শ্রবণ প্রতিবন্ধী)
পিতা: মোঃ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী
মাতা: মোছাঃ রশেনারা বেগম
নিয়োগ রোল: ৩০০১৯২৮৯
ঠিকানা: হেতমপুর, জায়গীরহাট, মিঠাপুকুর, রংপুর।
১১. মো. জসিম উদ্দিন (শ্রবণ প্রতিবন্ধী)
নিয়োগ রোল: ৩০০১০১৬৮
ঠিকানা: খুলনা জেলা।
শাহনাজ ইয়াসমিন: প্রকল্পের মেয়াদ ছিলো...
বিস্তারিততাসলিমুল আলম: সরকারি-বেসরকারি...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন