তাসলিমুল আলম: গত ১২ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অন্তত ২৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। যা ফেরাতে চালিয়ে যাচ্ছে বহুমুখি তৎপরতা। বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় চেষ্টা করা হচ্ছে পাচারকারীদের আটক করার। এর মধ্য দিয়ে অর্থ ফেরত নিশ্চিত করতে চাইছে দুদক। তবে এই উদ্যোগ সফল হতে অনেক সময় লাগবে বলে মনে করেন আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা।
অর্থপাচার রোধে দুর্নীতি দমন কমিশন, এনবিআর, সিআইডি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সরকারের একাধিক সংস্থা কাজ করে থাকে। তবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সংস্থাগুলোর নেই তেমন সফলতা। শুধুমাত্র দুদক ২০১২ ও ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আনে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা অর্থ। তিন দফায় সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকে থাকা ২১ কোটি টাকারও বেশি ফেরত আনা হয়।
তবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে তৎপরতা বাড়াচ্ছে দুদক। সংস্থাটির বিভিন্ন মামলার তথ্য অনুযায়ি প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। যা পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সহযোগিতায় কাজ করছে দুদক।
পাচার হওয়া এসব অর্থের বড় অংশই ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ। তাই দুদক প্রথমে বিদেশে পালিয়ে থাকা পাচারকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করতে চাই। উদ্ধার করতে চায় অর্থ।
তবে, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া অনেক জটিল উলেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন জানালেন এতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
পাচারের আগেই তা প্রতিরোধে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো কঠোর হওয়ার তাগিদ দিলেন তিনি।
তাসলিমুল আলম: সরকারি-বেসরকারি...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন