ইউসুফ রানা: করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরুর পর বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপে আবারও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। এই খাতে ক্রয় আদেশ কমতে শুরু করেছে বলেও জানালেন শিল্প মালিকরা। সেই সাথে অনেক ক্রয় আদেশ বাতিল এবং স্থগিত করা হচ্ছে। কয়েক মাস এমন নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশংকা উদ্যোক্তাদের। তারা বলছেন, সংকটে পড়লে আবারও কর্মী ছাঁটাই এবং কারখানা বন্ধ হতে পারে।
করোনা অতিমারির প্রথম দফার নেতিবাচক প্রভাবে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ে ধস নামে। মার্চ মাসে রপ্তানি ছিলো ২২৫ কোটি ৬২ লাখ ডলারের। এপ্রিলে তা নেমে আসে ৩৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলারে। বন্ধ হয়ে যায় অনেক কারখানা। ছাঁটাই করা হয় প্রায় ৭০ হাজার কর্মী। তবে প্রথম দফার প্রভাব কাটিয়ে জুন থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় এই খাত। অক্টোবর পর্যন্ত এই খাতের চিত্র ইতিবাচকই ছিলো।
করোনাকালে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানির চিত্র
মাস পরিমাণ
মার্চ ২২৫ কোটি ৬২ লাখ ডলার
এপ্রিল ৩৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার
মে ১২৩ কোটি ৫ লাখ ডলার
জুন ২১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার
জুলাই ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলার
আগস্ট ২৪৭ কোটি ডলার
সেপ্টেম্বর ২৩৪ কোটি ৫১ লাখ ডলার
অক্টোবর ২৩৯ কোটি ডলার
কিন্তু ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় দফা প্রাদুর্ভাবের কারণে, এই খাতে আবারও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ক্রয় আদেশ কমার পাশাপাশি বাতিল কিংবা স্থগিত করছেন অনেক ক্রেতাই। কেউ কেউ তুলনামূলক কম দাম দিচ্ছেন।
উদ্যোক্তারা বলছেন,প্রথম দফার ক্ষতি এখনও কাটিয়ে ওঠা যায়নি। এই অবস্থায়, নতুন করে সংকট তৈরী হলে তা মোকাবেলা করা কঠিন হবে। আবারও কর্মী ছাঁটাই এবং কারখানা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করলেন তারা।
এমন সময়ে তৈরি পোশাক খাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ দিলেন উদ্যোক্তারা।
তাসলিমুল আলম: সরকারি-বেসরকারি...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন