নিজস্ব প্রতিবেদক: যাবজ্জীবন অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির ৩০ বছর কারাবাস। তবে আদালত চাইলে কাউকে আমৃত্যু সাজা দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে দণ্ডিত ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত কারাবাস করতে হবে বলে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আজ (মঙ্গলবার) এই রায় দেন।
ভার্চুয়াল আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্ত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আর আসামি পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী শিশির মনির।
রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, ‘এটা এখন পরিস্কার হয়ে গেল যে, যাদের রায়ে শুধুমাত্র ‘যাবজ্জীবন’ লেখা আছে, তারা শুধুমাত্র ৩০ বছরের সুবিধাটা পাবেন, কিন্তু যাদের ‘আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ’ থাকবে তাদের আমৃত্যু কারাভোগ করতে হবে’।
একটি হত্যা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে আমৃত্যু কারাবাস উল্লেখ করেছিলো সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০০১ সালে সাভারে ঐ হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব হোসেন আদালতের এ অভিমতের বিরোধিতা করেন।
ঐ মামলার এক আসামি আতাউরের পক্ষে আপিল বিভাগের অভিমতের রিভিউ চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১১ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায়টি অপেক্ষমান রাখেন। তার আগে রিভিউ শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত পাঁচজন অ্যামিকাস কিউরির বক্তব্য শোনেন।
সবশেষ মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। এতে যাবজ্জীবন অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির ৩০ বছর কারাবাস বলে রায় দেয়া হয়। পুনরায় রিভিউ করার কথা ভাবছেন এই রায়ের বিরোধী আইনজীবী।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের মধ্য দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিয়ে সকল অস্পষ্টতা দূর হয়েছে।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন