ফররুখ বাবু: দেশে সাপের বিষ চোরাচালান বেড়েছে। কেনাবেচার বৈধতা না থাকায় বাংলাদেশকে পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। বছরে কয়েক’শ কোটি টাকার সাপের বিষ পাচার হচ্ছে। অবৈধপথে বাংলাদেশ হয়ে এই বিষ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সাপের ছোবলে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও বিষাক্ত সাপের পেছনে ছুটছে একদল মানুষ। যারা দেশের প্রান্তিক এলাকা ঘুরে সংগ্রহ করে সাপের বিষ। এছাড়া, অবৈধপথে বিদেশ থেকেও আসছে বিষ। দেশে সাপের বিষ কেনাবেচার বৈধতা না থাকায় রুট হিসেবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। অবৈধপথে সাপের বিষ বাংলাদেশ হয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরায় র্যাবের অভিযানে প্রায় ৯ কেজি সাপের বিষ উদ্ধার হয়। মেইড ইন ফ্রান্স লেখা অর্কষনীয় কাঁচের জারে থাকা এই বিষের বাজার মূল্য ৭৫ কোটি টাকা।
২০২০ সালে র্যাব ও সিআইডির অভিযানে সাপের বিষ পাচার চক্রের ১৩ জন গ্রেফতার হয়। উদ্ধার হয় প্রায় ১০ কেজি সাপের বিষ। যার বাজার মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি।
র্যাব জানিয়েছে, সাপের বিষের বৈদেশিক বাজার রয়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী স্থল ও নৌপথ ব্যবহার করে কয়েকটি চক্র পাচার করে মূল্যবান এই সম্পদ। তবে বাংলাদেশে বিষ বিক্রি ও ওষুধ শিল্পে ব্যবহারে আইনত বৈধতা না থাকায় গোপনে হচ্ছে কোটি কোটি টাকার লেনদেন।
সাপের বিষ চোরাকারবারের নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা বের করতে র্যাবের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন