নাঈম আল জিকো: বেপরোয়া গতি এবং চালানোর দক্ষতার অভাবে দিন দিন বাড়ছে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা। জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য বলছে, গেল ২৩ বছরে দেশে মোটর সাইকেলের দুর্ঘটনার পরিমান বেড়েছে ৪০গুন। চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত গতিতে মোটর সাইকেল চালানোয়, প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে বিকলাঙ্গতার সংখ্যা। দুই পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ শেষ পর্ব।
১৮ বছর বয়সী হাফিজুর রহমান তুষার। বাবা বিদেশে থাকায় মায়ের কাছে মোটর সাইকেল কেনার আবদার করে রাজবাড়ির এই কিশোর। আবদারও মেটান মা। কিন্তু বেপরোয়া ভাবে সেই মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন তুষার। হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ৫টি হাড় ভেঙ্গে এখন পরে আছেন পঙ্গু হাসপাতালের বিছানায়।
এই হাসপাতালে আসা অধিকাংশ রোগীই মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। যাদের বেশির ভাগের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছর। শুধু চালকরাই নন, মোটর সাইকেলের আঘাতে পা হারিয়েছেন এমন রোগীও ভর্তি আছেন এই হাসপাতালে।
হাসপাতালটির তথ্য বলছে, ১৯৯৭ সালে প্রতিদিন গড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ জন রোগী আসত। ২০০৭ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতিদিন ২৪ জনে অর্থাৎ বছরে ৮৬৪০জন। আর বর্তমানে এই সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৮০ জন, বছরে ২৮,৮০০ জন। চিকিৎসকরা বলছেন, মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্বের সংখ্যাও বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে দেশে মোট সড়ক পরিবহনের ৫০ শতাংশই মোটর সাইকেল। যাতে দুর্ঘটনা আশংকা অন্যান্য যানবাহন থেকে ৩০ গুণ বেশি।
মানুষকে সচেতন হবার পাশাপাশি সরকারকে এই দুই চাকার বাহন নিয়ন্ত্রনে কঠোর হবার আহবান জানান তিনি।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন