কাজী ফরিদ: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ২৩শ’। আর শিক্ষার্থী আছে প্রায় ২৮ লাখ। কলেজ অধিভুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া শর্ত মানছে না অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তদারকি নেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরও। অভিযোগ আছে ঘুষ নিয়ে যত্রতত্র অধিভুক্তি দেয়ার।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কলেজ পরিদর্শন শাখার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার। এমন অভিযোগের পর বাস্তব চিত্র দেখতে আমরা বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুসন্ধান চালাই।
মহাখালী মডেল হাইস্কুলের ঠিকানায় ক্যাপিটাল ল’ কলেজ নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি আইন কলেজ থাকার কথা। সরেজমিনে গিয়ে ২০ বছর আগে অধিভুক্তি পাওয়া এই কলেজের সাইনবোর্ডও পাওয়া যায়নি।
একই চিত্র ইন্সটিটিউট অব লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টের। ২৪ বছর আগে অধিভুক্তি পাওয়া এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো রাজধানীর শংকরের ইউসুফ হাইস্কুলের কক্ষ ভাড়া করে চলছে।
ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের একটি ভাড়া বাড়িতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে ২০০০ সালে অধিভুক্তি পাওয়া এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি। ৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা ইন্সটিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে ভাড়া করা ভবনে। মহাখালীর ক্রাউন ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি ৫ বছরের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাবার কথা থাকলেও ১০ বছরেও যেতে পারেনি।
অধিভুক্তির শর্ত না মানলেও বিশ্ববিদ্যালয় দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অধিভুক্তির বিধিমালা মানছেনা স্নাতক পর্যায়ের বড় কলেজগুলোও। প্রয়োজনীয় শিক্ষক ছাড়াই চলছে এগুলো। অভিযোগ আছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁর পরিচিতদের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন দিয়েছেন।
তবে উপাচার্য জানিয়েছেন কলেজগুলো মনিটরিং-এর জন্য একটি টিম করা হয়েছে।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন