কাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছর ২০২০। তাঁর শততম জন্মবার্ষিকীর দিন, ১৭ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মুজিববর্ষ উদযাপন। স্বাধীন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একাত্মা। তিনিই একাত্তরের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর ডাকেই মানুষ স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দ্বারে পৌঁছানোর আগের বছরটি কেমন কেটেছিল বঙ্গবন্ধুর। সেই উত্তাল আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক দিনগুলো নিয়ে মুজিববর্ষ জুড়ে বৈশাখী সংবাদের বিশেষ ধারাবাহিক আয়োজন- যাঁর ডাকে বাংলাদেশ।
একাত্তর সালের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি শাসনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গঠনের প্রতিশ্র“তি দেন ।
১৯৭১ সালের ১৫ই জানুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন পাকিস্তান পিপলস পার্টি- পিপিপির প্রধান বাঙ্গালী বিরোধী জুলফিকার আলী ভুট্টো। সেখানে পাকিস্তানভিত্তিক সত্যিকার শাসনতন্ত্র প্রণয়নে আওয়ামী লীগকে তার দল অকুন্ঠ সহযোগিতা করবে বলে প্রতিশ্র“তি দেন। বলেন, “ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রে অবশ্যই পাকিস্তানের সংহতি ও অখন্ডের প্রতিফলন ঘটাইতে হইবে।”
একই দিন ভূট্টোর এই বক্তব্যের জবাব দেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ১৫ই জানুয়ারি বিকেলে, ঢাকার পল্টনে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাক্ষাতকার দেন শেখ মুজিব। সেখানে বলেন, “জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা তথা অধিকার প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে জনগণের এক বিরাট দায়িত্বও সৃষ্টি হয়। তাই আজ শুধু দাবি-দাওয়ার কথা চিন্তা করিলেই চলিবে না- দেশের সার্বিক কল্যাণের কথা চিন্তা করিতে হইবে।” (সূত্রঃ ১৬ জানুয়ারি, ১৯৭১; দৈনিক ইত্তেফাক)
দেশের যাবতীয় সমস্যা ও অভাব-অভিযোগের কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু মুজিব বলেন, “শুধু গুটিকয়েক জননেতা কিংবা সরকারের পক্ষে এককভাবে এই বিরাট দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হইলে দেশ গঠনের কাজে সকল শ্রেণীর মানুষকে সহযোগীতা করিতে হইবে। আমি প্রতিশ্র“তি দিতেছি, আপনারা পাশে থাকিলে বাংলা ও এই ভূখন্ডের মানুষের জন্য একটি শাসনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গঠন করা হইবে।” (সূত্রঃ ১৬ জানুয়ারি, ১৯৭১; দৈনিক ইত্তেফাক)
বিউটি সমাদ্দার: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন