এজাজুল হক মুকুল: আবারো সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়েছে আসামির স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রক্রিয়া। নির্যাতনের পর জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ উঠছে অহরহ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রশাসন ও ম্যাজিস্ট্রেটের তদারকি না থাকায় জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের ঘটনা বাড়ছে। জবানবন্দি নেয়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন আপিল বিভাগের প্রাত্তন বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
জিসা মনি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত চৌঠা জুলাই নারায়ণগঞ্জ থেকে নিখোঁজ হয়। থানায় অপহরণ মামলা করেন তার বাবা। পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তারাও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ঘটনার ৫১ দিন পর ওই শিশুটি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় হাজির হলে তোলপাড় শুরু হয় প্রশাসনে।
চট্টগ্রামেও মৃত দীলিপ ফিরে এসেছে। সেখানেও আদালতে জবানবন্দিতে দীলিপকে হত্যার কথা স্বীকার করে আসামিরা। এরকম আরো কয়েকটি ঘটনার জবানবন্দিও উচ্চ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এসব ঘটনার জেরে আবারো আলোচনায় জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়া।
প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের ব্যর্থতা লুকাতে তদন্তকারীরা নিরীহ মানুষের কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করছেন বলে মনে করেন, অ্যাটর্নি জেনারেল।
তবে পুলিশ কিংবা তদন্তকারী সংস্থার আইনের পরিপন্থী কোন কিছু করার সুযোগ নেই বলে মনে করেন সাবেক মহা-পুলিশ পরিদর্শক।
এমন ঘটনা এড়াতে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় উল্লেখিত বিষয়গুলো ম্যাজিস্ট্রেটদের মেনে চালার পরামর্শ দিয়েছেন আপিল বিভাগের প্রাক্তন এই বিচারপতি।
উন্নত-বিশ্বের মত বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাল করা গেলে এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসবে বলেও মত তাঁর।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার সময় ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো সতর্ক হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন