ইউসুফ রানা: গত তিন দশকে দেশে চাষ করা মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৯ গুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাষাবাদের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন সাময়িকভাবে লাভজনক হলেও এর ক্ষতিকর দিক বেশি। তাই প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছ সংগ্রহ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে, প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছ উৎপাদনের উপায় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।
১৯৮৭ সালে দেশে চাষ করা মাছের উৎপাদন ছিলো ১৪ হাজার ৭৭৩ মেট্রিকটন। ২০১৯ সালে এর পরিমান বেড়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৮ মেট্রিকটনে দাঁড়িয়েছে। মৎস অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্যই মাছ চাষের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিলো।
তবে, গবেষকরা বললেন, চাষের মাছ সাময়িকভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণ করলেও এর পুষ্টিগুণ তুলনামুলক কম। আর এই চাষ পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর।
সংশ্লিষ্টরা জানালেন, চাষের মাছের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার খাদ্য আমদানি হয়। এর দাম দিনদিন বাড়ছে। ফলে ব্যয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এছাড়া, মাছ চাষ করতে গিয়ে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক উৎস থেকে নিরাপদ মাছ আহরণের ওপর জোর দিচ্ছে মৎস অধিদপ্তরও।
তিনি জানালেন, প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছ আহরণ বাড়ানোর জন্য এরই মধ্যে ৪৫০ টিরও বেশি প্রাকৃতিক অভয়াশ্রম তৈরী করা হয়েছে।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন