কাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছর ২০২০। তাঁর শততম জন্মবার্ষিকীর দিন, ১৭ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মুজিববর্ষ উদযাপন। স্বাধীন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একাত্মা। তিনিই একাত্তরের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর ডাকেই মানুষ স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দ্বারে পৌঁছানোর আগের বছরটি কেমন কেটেছিল বঙ্গবন্ধুর। সেই উত্তাল আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক দিনগুলো নিয়ে মুজিববর্ষ জুড়ে বৈশাখী সংবাদের বিশেষ ধারাবাহিক আয়োজন- যাঁর ডাকে বাংলাদেশ এর আজ ৩’শ চার তম প্রতিবেদন। বাংলার সাংস্কৃতিক মুক্তি আওয়ামী লীগের ৬-দফায় একাত্তরে এই ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালের ২৪শে জানুয়ারি ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউটে নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করে পূর্ব পাকিস্তান সঙ্গীত শিল্পী সমাজ। সত্তরের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানকে সংবর্ধনা দিতে শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে ভাষণ দেন শেখ মুজিব। বলেন, “বাংলার মাটিতে ভাড়াটিয়া-তাহজিব-তমদ্দুন আমদানীর দিন শেষ হইয়া গিয়াছে। বাংলার মানুষকে, বাংলার নিজস্ব সাহিত্য-কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশকে আর দাবাইয়া রাখা যাইবে না। ছয়-দফা কর্মসূচী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধিকারের মতই বাঙ্গালীর সাংস্কৃতিক মুক্তিরও নিশ্চয়তা প্রদান করিবে।” (সূত্রঃ ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭১; দৈনিক ইত্তেফাক)
বঙ্গবন্ধু মুজিব বলেন, “জাতীয় সঙ্গীত ও ললিতকলা একাডেমী বাংলার মাটিতেই প্রতিষ্ঠিত হইবে। সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সঙ্গীতসেবীদের উদ্দেশে আমি বলিতে চাই, বাংলার মাটি ও মানুষকে, বাঙ্গালীর আশা আকাংক্ষাকে ভিত্তি করিয়া নিজস্ব সাহিত্য-কৃষ্টি-সংস্কৃতির পতাকা উর্ধ্বে তুলিয়া ধরুন। ভয় নাই- বাংলার সাত কোটি মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে।” (সূত্রঃ ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭১; দৈনিক ইত্তেফাক)
বিউটি সমাদ্দার: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন