আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাড়ম্বর আয়োজনে উদযাপিত হলো ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস। করোনার কারণে সীমিত পরিসরে হলেও দিল্লির রাজপথে সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ আর সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে নিজেদের শক্তি সামর্থের জানান দেয় দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষমতাধর এই দেশ। এবারই প্রথম এই কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্যের একটি দল। এদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল করেছে আন্দোলনরত কৃষকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষ হয়।
করোনার প্রকোপ আর কৃষকদের আন্দোলনের মতো সংকটের মধ্যেই এবার প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করলো ভারত। আজ মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় শুরু হয় ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। ১৯৫০ সালের এই দিনে ভারতের সংবিধান প্রণীত হয়। এরপর থেকে দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপন করে ভারতীয়রা।
বরাবরের মতো এবারও দিল্লির রাজপথে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। মাস্ক পরে এতে অংশ নেন জওয়ানরা। এবারের এই প্যারেডে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্যের একটি দল। এছাড়াও ছিলো ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন সমরাস্ত্রের প্রদর্শনী।
দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংসহ অনেকে। এ সময় ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। করোনার কারণে এবারের আয়োজনে তুলনামূলক কম সেনাসদস্য রাখা হয়। ছিলোনা কোনো বিদেশী অতিথি।
এদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসেও কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লির রাজপথ। সকাল থেকেই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করতে থাকে হাজারো কৃষক। বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা ব্যারিকেড ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এসময় কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। ট্রাক্টর উল্টে এক কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে বিক্ষোভরত কৃষকরা।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন