কাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছর ২০২০। তাঁর শততম জন্মবার্ষিকীর দিন, ১৭ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মুজিববর্ষ উদযাপন। স্বাধীন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একাত্মা। তিনিই একাত্তরের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর ডাকেই মানুষ স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দ্বারে পৌঁছানোর আগের বছরটি কেমন কেটেছিল বঙ্গবন্ধুর। সেই উত্তাল আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক দিনগুলো নিয়ে মুজিববর্ষ জুড়ে বৈশাখী সংবাদের বিশেষ ধারাবাহিক আয়োজন- যাঁর ডাকে বাংলাদেশ এর আজ ৩’শ সাত তম প্রতিবেদন।
একাত্তরে তৎকালীন পাকিস্তানে প্রথম সাধারণ নির্বাচন পরবর্তি গণতান্ত্রিক সরকার কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা করতে, ১৯৭১ সালের ২৭শে জানুয়ারি দুপুরে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ঢাকায় আসেন বাঙ্গালি বিরোধী পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো। তার সাথে ছিল ১৫ সদস্যের একটি দল। তেঁজগাও বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের ভুট্টো বলেন, “মতৈক্য এবং সমঝোতার সন্ধানেই আমি ঢাকা আসিয়াছি।”
একাত্তরের এদিন সন্ধ্যায় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বাসায় যান ভুট্টোর নেতৃত্বধীন প্রতিনিধি দলটি। গাড়ি থেকে নামলে ভুট্টোকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমি আপনাকে স্বাগত জানাইতেছি।” এর প্রতিউত্তরে ভুট্টো বলেন, “আমিও আপনার সঙ্গে সাক্ষাত করিতে পারিয়া সম্মানিত ও আনন্দবোধ করিতেছি।” (সূত্রঃ ২৮ জানুয়ারি, ১৯৭১; দৈনিক ইত্তেফাক)
সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে শুরু হয় মুজিব-ভুট্টো বৈঠক। ৭৫ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল সভা। বিভিন্ন জাতীয় সমস্যা ও শাসনতান্ত্রিক বিষয়ে আলোচনা করেন দুই দলের প্রধান। বৈঠক শেষে বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদেরকে বঙ্গবন্ধু মুজিব জানান, “আলোচনা চলমান। তবে সন্তোষজনক পরিস্থিতিতে আজকের আলোচনার পরিসমাপ্তি ঘটিয়াছে। একটি মতৈক্যে পৌছাইতে পারিবো বলে আশা করিতেছি।” (সূত্রঃ ২৮ জানুয়ারি, ১৯৭১; দৈনিক ইত্তেফাক)
কাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ...
বিস্তারিতবিউটি সমাদ্দার: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতগোলাম মোর্শেদ: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতবিউটি সমাদ্দার: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন