মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে রহস্যজনক কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে পড়েছেন এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও গাড়ি চালকরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেন শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ। এতে ঘাট এলাকায় আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনসহ অসংখ্য ছোট যানবাহন। এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আওয়াল নেতা-কর্মীদের নিয়ে লঞ্চে করে নদী পার হয়েছেন।
ভোটে কারচুপি ও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে বরিশালে একটি সমাবেশে যোগ দিতে আজ সকালে ঢাকা থেকে রওনা হন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আওয়াল। ৫০টি গাড়ীবহর নিয়ে তারা মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসার পরই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি)।
এরপর থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে কোন ফেরি মুন্সিগঞ্জে আসেনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট) ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে সকাল ৬টা পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ছিল। হঠাৎ ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি কর্তপক্ষ কোন মন্তব্য করেনি। তবে তারা জানিয়েছে, ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা একটি ফেরি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লোড করে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছাড়া হয়েছে। সকালের পর থেকে মাদারিপুর থেকে কোন ফেরি না আসায় এই অবস্থা হয়েছে।
এদিকে প্রায় দেড় ঘন্টা ঘাটে অপেক্ষা করে কোন ফেরি না পেয়ে তাবিথ আউয়াল সি-বোটে নদী পার হন। আর ইশরাক হোসেন প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী নিয়ে এমভি মাসুম-২ লঞ্চে করে বাংলাজারের উদ্দেশে রওনা হয়।
এর একঘন্টা পরেই শিমুলিয়া-বাংলাজার নৌ-রুটে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দেয় সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় এই নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছেন হাজারো যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স, যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভ্যার্ডভ্যানসহ অসংখ্য ছোট যানবাহন।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন