নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন । এই অর্জন দেশের জনগণের। আজ শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি।
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা ইউএন-সিডিপির পক্ষ থেকে নিউ ইয়র্ক সময় শুক্রবার রাতে জানানো হয়, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুরুতেই তিনি বলেন, “আজ অবশ্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি বাংলাদেশের একটি মহৎ এবং গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের সুসংবাদ দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ গতকাল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক দশক আগের আর এখনকার বাংলাদেশ এক নয়। অনেক বদলে যাওয়া একটি দেশ। অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। জিডিপি, মাথাপিছু আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি দারিদ্র্যর হার কমানো, তৃণমূলে উন্নয়ন ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীণ থাকবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে এই উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, উন্নয়নের চলমান গতিধারা বজায় থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নত দেশের কাতারে উঠবে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এরপর প্রশ্নোত্তর পর্বে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল অর্জনকে সুসংহত করতে হবে। আরো এগিয়ে যেতে হবে। যারা দেশকে দুর্নীতি-অনিয়মের আখড়া বানিয়ে ফেলেছিলো, তারা বাংলাদেশের অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না। তবে সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারি মোকাবেলায় শুরু থেকেই আন্তরিকতার সাথে কাজ করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি দেয়া হয়েছে আর্থিক প্রণোদনা। সংক্রমণ রোধে গণ টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্যের উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে। তবে এ অর্জনকে সুসংহত এবং টেকসই করার উপর জোর দেন তিনি। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিউটি সমাদ্দার: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন