আশিক মাহমুদ: মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম। তবে, পুলিশের ভূমিকা ছিলো নির্বিকার। আর হামলাকারীদের টার্গেট ছিলো সরকারি স্থাপনা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এই তাণ্ডবের এক সপ্তাহে কেউ গ্রেফতার না হওয়াও ক্ষোভ বাড়ছে জনমনে।
১৯৭১ সালের পর এমন তাণ্ডব আর দেখেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। তাদের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে যে তাণ্ডব চালায় হেফাজত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরজুড়ে তার ছাপ এখনও স্পষ্ট। শহর ঘুরে দেখা গেছে, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস ও স্থাপনা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অনেক বাড়িঘর। রেলস্টেশন, থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, উপাসনালয়, ভূমি অফিস- বাদ যায়নি কিছুই। আগুনে পোড়ানো হয়েছে, সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনও।
শিল্প, সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত প্রতিষ্ঠান হেফাজতের আক্রোশের শিকার হয়েছে বেশি। শহরে থাকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি প্রতিকৃতিই খুঁচিয়ে নষ্ট করা হয়েছে।
এলাকার লোকজন জানান, হামলার আগে শহরের বেশকয়েকটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানুষ জড়ো করা হয়। তারপর শুরু হয় তাণ্ডব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন ভূমিকা ছিলোনা বলে অভিযোগ করেন অনেকে।
অন্তত ৩৪টি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২১টি মামলা হয়। তবে, কোন মামলায় হেফাজতের কারো নাম উলেখ নেই।
এই হামলার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিলো বলেও জানান পুলিশ প্রধান।
MHS/PBC
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন