আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নেয়ার পর প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টি বিরল হলেও স্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তবে কী কারণে রক্ত জমাট বাঁধছে তা এখনো অজানা।
ইতালির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইএমএ-র ভ্যাকসিন ইভাল্যুয়েশন দলের প্রধান মার্কো কাভালেরি বলেন, ‘আমার মতে, আমরা এখন এটা বলতে পারি। টিকার সঙ্গে এর (মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার) একটি সম্পর্ক থাকার বিষয়টি এখন পরিষ্কার। তবে কেন এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে এটা এখনো আমাদের অজানা।’ নিজের মন্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি মার্কো কাভালেরি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবিষয়ে তথ্যের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া পায়নি। যদিও কিছুদিন আগেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণা পত্রে বলা হয়েছিল, তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার উচ্চঝুঁকির কোনো সম্পর্ক খুঁজে পায়নি।
আর ইএমএ থেকেও বার বার বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তুলনায় লাভ অনেক বেশি। তাই এই টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত না করে চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে বলতে দেখা গেছে।
ইউরোপের অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রায় সাড়ে নয় কোটি মানুষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণ করেছেন। এই বৃহৎ সংখ্যক মানুষের মধ্যে ৪৪ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার উপসর্গ দেখা গেছে।
গত সপ্তাহে ইএমএ থেকে বলা হয়েছিল, এখন পর্যন্ত তাদের হাতে যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন আছে তাতে কোনো নির্দিষ্ট বয়স, লিঙ্গ বা অতীত রোগের কারণে রক্ত জমাট বাঁধার বিরল এ ঘটনা ঘটছে কিনা তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার সরাসরি সম্পর্ক থাকার প্রমাণও নেই, তবে সেই সম্ভাবনা আছে।
টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তাদের বেশিরভাগই বয়সে তরুণ এবং মাঝ বয়সের নারী। কিন্তু ইএমএ এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাইছে না। এজন্য আরো গবেষণা করা হচ্ছে।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন