মোংলা সংবাদদাতা: মোংলা বন্দরে জাহাজ চলাচলের জন্য পশুর নদীতে খনন শেষে তোলা বালু ও মাটি ফেলা হচ্ছে তীরবর্তী কৃষি জমিতে। কিন্তু এজন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা থাকলেও তা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ জমির মালিকরা। তবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, শিগগিরই পাওনা পরিশোধ করবেন তারা।
মোংলা বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে পশুর নদীর সমুদ্রের দিকের অংশের খনন শেষে এখন শুরু হয়েছে ভেতরের দিকের খনন কাজ। প্রায় ৮শ’ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 'জেএইচসিইসি এবং সিসিইসিসি’। খনন করে তোলা বালু ও মাটি ফেলা হচ্ছে নদী তীরবর্তী জমিতে। এজন্য আপাতত উপজেলার ৬নং চিলা ইউনিয়নের ১শ’৩০ একর জমি মালিকদের কাছ থেকে হুকুম দখল নিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ|
তবে জমির মালিকদের অভিযোগ, এসব জমি ব্যবহারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়েই সেখানে বালু ও মাটি ফেলা হচ্ছে। এসব বালু ও মাটি লবণাক্ত হওয়ায় জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। ফলে আগামীতেও এখানে মাছ চাষ বা ফসল উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়বে। তাই জমি অধিগ্রহণ করে নিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। তবে এ ব্যাপারে নানাভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।
এদিকে, ক্ষতিপূরণের টাকা খুব শিগগিরই জমির মালিকদের দেয়া হবে বলে জানালেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। তবে জমি অধিগ্রহণের কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানালেন তিনি।
আঠারো মাসের মধ্যে পশুর নদীর এই খননের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানালেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন