সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার মেট্রোরেলে

প্রকাশিত: ২৯-১২-২০২২ ১৪:২২

আপডেট: ৩১-১২-২০২২ ১৬:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্রুতগতির বৈদ্যুতিক মেট্রোরেলে চড়তে অভ্যস্ত নয় দেশের সাধারণ জনগণ। তার ওপরে আছে বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যাসহ নানা প্রতিকুলতা তৈরির আশংকা। এসব কিছু মাথায় রেখে সাধারণের মেট্রোরেল ব্যবহারের আয়োজন সাজিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার উদ্বোধনী দিন প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী মরিয়ম আফিজাসহ দু’জন নারী চালক আছেন মেট্রোরেলে। পুরুষ চালক ৩৮জন। 

রাজধানীর ঁআগারগাও মেট্রোরেল স্টেশনে বৃহস্পতিবার সকালের দৃশ্য। এই দীর্ঘ সারি দেশের প্রথম মেট্রোরেল চড়ার আবেগে দাঁড়ানো। এমন অত্যাধুনিক, স্বয়ংক্রিয় যানবাহনের সাথে দেশের সাধারণ মানুষের পরিচয় নেই। স্টেশন গেটে প্রবেশ করতেই অচেনা নতুন প্রযুক্তির মুখোমুখি হয় তারা। তাদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ ও সহজ করতে আছে পুলিশ।  

স্টেশনের এস্কেলেটর দিয়ে দোতলায় উঠার পর টিকিট কাটার দুটি পদ্ধতি রাখা। মেশিনে যারা টিকিটি কাটা বুঝবেন না তাদের জন্য পুরানো প্রচলিত পদ্ধতির টিকিট কাউন্টার আছে। টিকিট কাটার মেশিনে ভাড়ার চেয়ে বড় নোট দিলেও বাড়তি টাকা ফেরত দেবে মেশিন। কেউ না বুঝলে তাকে সহায়তার মানুষ রাখা আছে।  

রেলে উঠতে ও বের হতে স্টেশনে কার্ড পাঞ্চ করা নতুন নাগরিক দায়িত্ব। যাদের বুঝতে সমস্যা হচ্ছে তাদের সহায়তায় কাজ করছে কর্তৃপক্ষের সদস্যদের পাশাপাশি স্কাউটরা।  

মেট্রো স্টেশনগুলোতে ধুমপান ও কোন ধরনের ময়লা ফেলা নিষেধ। ধুলা-ময়লা যেন না থাকে সেজন্য উন্নত দেশের মত সবসময় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ করছেন। এমন কাজে যুক্ততা তাদের মনে আনন্দ জাগিয়েছে।     

বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল। কোন কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘœ ঘটলে রেলটি যেন পরের স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছায় তাই ব্যাটারি আছে। ট্রেনটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি রেলে ছয়টি কোচ। তবে প্রয়োজনে বাড়তি আরো দুটি বগি যুক্ত করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রেলে প্রতিটি কোচের ভেতর, সব প্লাটফর্ম ও স্টেশনে আছে বহু সিসি ক্যামেরা। স্টেশনে প্রায় ৫০০ কর্মী। তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হয়েছে। ৪০ চালকের দু’জন নারী। দেশের বাস্তবতা মাথায় রেখে আরও অনেক প্রযুক্তি রেলে যুক্ত করা আছে। 

 

FM/Bodiar