নিজস্ব প্রতিবেদক: অনলাইনে আল-কায়েদার মতাদর্শ ও ধর্মের ভুল ব্যাখ্যায় জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে দেশের শিক্ষিত তরুণরা। টেকনাফের পাহাড়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে সশস্ত্র জিহাদের প্রস্তুতিকালে ৬ জনকে গ্রেফতারের পর এতথ্য জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরিরোজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। এদিকে, একই কারণে বাড়ি থেকে পালানো ৯ জনকে আটকের পর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে র্যাব।
অনলাইন মাধ্যমে আল-কায়েদার মতাদর্শ অনুসরণ করে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন আব্দুর রব। তবে বাড়িতে না গিয়ে বিমানবন্দর থেকেই চলে যান জঙ্গি ক্যাম্পে। সেখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শেষে জিহাদে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করেন। পরে জঙ্গি সংগঠনের কাঠামো তৈরির জন্য সদস্য সংখ্যা বাড়াতে অনলাইনে অনেকের সঙ্গে যোগাযাগ করেন। পহেলা জানুয়ারি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও টেকনাফ থেকে আব্দুর রবসহ ৬ জনকে গ্রেফতারের পর এতথ্য জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরিরোজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, আব্দুর রব একটি মাদ্রাসায় চাকরি করার সময় অনলাইনে সমমনাদের সঙ্গে জিহাদ নিয়ে আলোচনা করতেন। এছাড়া দেশে জঙ্গিবাদে জড়িতদের ৭০ শতাংশই তরুণ-তরুণী বলেও জানান তিনি।
আব্দুর রবের মাধ্যমে টেকনাফে প্রশিক্ষণ নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা করেছিল তারা। তবে তাদের সঙ্গে আল-কায়েদার সরাসরি কোন যোগাযোগ নেই দাবি করে সিটিটিসি জানায়, অনলাইনের মাধ্যমে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যার ভিডিও দেখেই অনুপ্রাণিত হয় তারা।
এদিকে, বাড়ি থেকে পালানো ৯ তরুণ-তরুণীকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে র্যাব। উদ্ধারকৃতরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তারা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়।
র্যাব জানায়, তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে হবে পরিবার ও সমাজকে।
তবে, জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে তরুণদের বাঁচাতে পার্বত্য এলাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
Rakib/sat