এনআইডি একক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চান বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত: ০৮-০১-২০২৩ ২০:৪৮

আপডেট: ০৮-০১-২০২৩ ২২:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: এনআইডি ডাটাবেজ একক কর্তৃপক্ষের অধীনে রাখা উচিৎ বলে মনে করেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনে ডাটাবেজ অন্যদের ব্যবহার করতে দেয়া যেতে পারে। এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের আগে এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অভিজ্ঞতা, দক্ষ জনবল ও সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি’র বিষয় বিবেচনায় নিতে বলেন তারা। 

আজ (রোববার) সকালে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব পরামর্শ দেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা যৌক্তিক কিনা, আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত সরকারকে জানাবে নির্বাচন কমিশন। 

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে বহুদিন ধরে। এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছে না থাকলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোটগ্রহণে জটিলতা তৈরি হবে কিনা এমন প্রশ্ন উঠছে।

ইভিএমে ভোটের ক্ষেত্রে এনআইডি ও ভোটার নম্বরের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য রোববার নির্বাচন কমিশন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সাথে বৈঠক করে। তবে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়নি; গোপন রাখা হয়েছিলো। 

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ যারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তারাও বিষয়টি স্পর্শকাতর উলে­খ করে প্রথমে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চাননি। পরে তারা জানান, তথ্য বিভ্রাট এড়াতে এনআইডি কার্যক্রম যেকোন একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকা উচিৎ। এই কাজে নির্বাচন কমিশন অভিজ্ঞ, স্থানান্তরের আগে এই বিষয়টাও বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন তারা।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।  তবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, বৈঠকে উঠে আসা পরামর্শ নিয়ে আবার সভা করবে কমিশন। প্রয়োজনে সরকারকে এই কার্যক্রম ইসিতে রাখার অনুরোধ করা হবে। একমাসের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

KFA/sharif