দ্রুত ইভিএম প্রকল্পের অনুমোদন চায় ইসি

প্রকাশিত: ১৬-০১-২০২৩ ১৪:১৬

আপডেট: ১৬-০১-২০২৩ ১৫:৪৯

কাজী ফরিদ : নির্বাচন কমিশনের চলমান ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুনে। বর্তমানে ইসির কাছে থাকা ইভিএম দিয়ে সংসদের ৭০ আসেনে ভোট নেয়া সম্ভব। তবে কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড়শো আসনে মেশিনের মাধ্যমে ভোট নিতে চায়। এজন্য নতুন মেশিন কেনার প্রস্তাব দিয়েছে ইসি। নির্বাচন কমিশন বলছে চলতি মাসে প্রকল্প অনুমোদন না হলে দেড়শো আসনে ইভিএমে ভোট করতে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

নির্বাচন ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহারের জন্য ২০১৮ সালের জুনে ইভিএম প্রকল্প গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। যার মেয়াদ এবছরের জুনে শেষ হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হয়েছিলো।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড়শো আসনে ইভিএমে ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সেজন্য কমিশনের কাছে থাকা ইভিএমের পাশাপাশি আরো দুই লাখ ইভিএম কিনতে হবে। এজন্য গেলো বছরের অক্টোবরে নতুন করে ইভিএমের আরেকটি প্রকল্প নির্বাচন কমিশন অনুমোদন করে সরকারের কাছে পাঠিয়েছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭শ ১১ কোটি টাকা। ইভিএম ক্রয়, সংরক্ষণের জন্য ওয়ারহাউজ নির্মাণ, বেতন, গাড়ি ক্রয়সহ প্রচার-প্রচারণার জন্যও এই অর্থ ব্যয় হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে ব্যয়নিয়ে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ জানিয়ে ইসিকে চিঠি দেয়। স¤প্রতি এসব পর্যালোচনা করে জবাব দিয়েছে ইসি। তবে নভেম্বরে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চেয়েছিলো ইসি, বিলম্বিত হওয়ার কিছু চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ রাকিবুল হাসান।

১৩শ ৩ জন জনবল চেয়ে ইসি পেয়েছে শুধু ১৩ জন। তবে বিকল্প জনবলের কথা ভাবছে কমিশন বলে জানালেন তিনি।

এদিকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ইভিএম ত্র“টিপূর্ণ পাওয়া গেছে। তাই নতুন প্রকল্পে সংরক্ষণাগার নির্মাণ সবচে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

যদিও নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিদের অনেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিরোধীতা করেছিলেন। তবে কমিশন সব সময় বলে আসছে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই ইভিএমে ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

KFA/shimul