তানজিলা নিঝুম: দেশের ব্যাংকগুলোতে আমানতের চেয়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেড়েছে। ব্যাংকগুলো যে পরিমাণে ঋণ বিতরণ করছে, আমানত জমা হচ্ছে তার অর্ধেক। এ অবস্থায় ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে উৎপাদনশীল খাতকে বেছে নিতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থের সরবরাহ ঠিক রাখতে এবিষয়ে তদারকি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা। ডলার কেনায় ব্যাংকে টাকা সরবরাহ কিছুটা সংকুচিত হলেও সংকট নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গতবছর থেকেই দেশে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে ব্যাংকগুলোকে ডলার কেনায় বাড়তি টাকার যোগান দিতে হয়। ব্যাংক খাতে গত সেপ্টেম্বরে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক সাত-চার শতাংশ। আর ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক আট-পাঁচ শতাংশ।
আর গত নভেম্বরে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে হয় ৬ দশমিক ছয়-আট শতাংশ ও ঋণের প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক নয়-তিন শতাংশ। ফলে ব্যাংকে যে আমানত জমা হচ্ছে, তার চেয়ে ঋণ যাচ্ছে বেশি। একদিনের জন্য কলমানি মার্কেটে আন্ত:ব্যাংক টাকা ধার নেওয়ায় সুদহারও বাড়ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ঋণ দেয়ার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক হতে বলেছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে এতে সংকট দেখছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। টাকার সরবরাহ কমে যাওয়া সাময়িক বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। রপ্তানি ও বৈদেশিক আয় বাড়লেই টাকার সরবরাহ স্বাভাবিক গতি ফিরবে বলে আশা করছেন তিনি।
আমানত ও ঋণ বিতরণের চিত্র
মাস আমানত প্রবৃদ্ধি ঋেেণর প্রবৃদ্ধি
সেপ্টেম্বর ৭.৭৪% ১১,৮৫%
নভেম্বরে ৬.৬৮% ১০.৯৩%
২০২০-২১ অর্থবছর
মাস ঋণ বেড়েছে
জুলাই-অক্টোবর ৪২ হাজার ২০৬ কোটি টাকা
২০২২-২৩ অর্থবছর
জুলাই-অক্টোবর ৬১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা
ঋণ বেড়েছে ৪৫.৩৩%
সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক
Nijhum/sharif