তানজিলা নিঝুম: শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বা ‘ফ্লোর প্রাইস’ পুরোপুরি তুলে না দিলে দেশের পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক গতি ফিরবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে অনেকে ব্লক মাকের্টে শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীকে বাজারে আটকে রাখতে পর্যায়ক্রমে ‘ফ্লোর প্রাইস’ তুলে দেবার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
পুঁজিবাজারে টানা দরপতন ঠেকাতে গতবছরের ২৮শে জুলাই শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বিএসইসি’। এতেও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। ধীরে ধীরে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। লেনদেনেও নেই গতি। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৬ পয়েন্টে। আর লেনদেন ২২৯ কোটি টাকা কমে হয়েছে ৫০৫ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারে শেয়ারের দামের ওঠানামা করাই স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু ফ্লোর প্রাইসের কারণে বাজার স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ।
পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করতে ফ্লোর প্রাইস পুরোপুরি তুলে দেবার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৩টির, কমেছে ১৩৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৮টি কোম্পানির শেয়ার।
গতসপ্তাহের পুঁজিবাজারের চিত্র
কার্যদিবস লেনদেন(টাকা) সূচক(পয়েন্ট) রোববার৬৯২ কোটি ৭৫ লাখ ৬২৫৫ লাল
সোমবার ৫০৯ কোটি ৬২ লাখ ৬২৬৩সবুজ
মঙ্গলবার ৬০৭ কোটি ৬৭ লাখ ৬২৯১ সবুজ
বুধবার ৭৩৪ কোটি ৬০ লাখ ৬২৯৩ সবুজ
বৃহস্পতিবার ৫০৫ কোটি ৫৩ লাখ ৬২৯৬ সবুজ
সূত্র: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ
Nijhum/sharif