বাগেরহাট সংবাদদাতা: সুন্দরবন ও ষাট গম্বুজ মসজিদসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর রাজধানীসহ সারাদেশের সাথে বাগেরহাটের যোগাযোগ সহজ হওয়ায় পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও সেখানে নেই ভালো মানের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও আছে প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানালেও পর্যটকরা বলছেন কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না তারা।
পর্যটন শিল্পে সমৃদ্ধ দেশের দক্ষিণের জেলা ‘বাগেরহাট’। ইউনেসকো ঘোষিত বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে দু’টিই এই জেলায়। একটি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, অন্যটি মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ। এছাড়াও আছে চুনাখোলা মসজিদ, নয় গম্বুজ মসজিদ, সিঙ্গাই মসজিদ, এক গম্বুজ মসজিদসহ সুলতানী আমলের নানা স্থাপত্য।
পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলার সাথে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় বাগেরহাটের পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। তবে পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে সেবার মান বাড়েনি। নেই অভিজ্ঞ ট্যুরগাইড, ভালো মানের খাবার হোটেল, আবাসন ব্যবস্থা ও মানসম্পন্ন যানবহন। এনিয়ে পর্যটকদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।
সেবার মান না বাড়ায় দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এসে হতাশ হচ্ছেন। ফলে জেলার পর্যটন শিল্পের অর্থনীতি পিছিয়ে পড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অভিজ্ঞ গাইড না থাকায় ট্যুরিজিম বোর্ড ইতিমধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য ট্যুর অপারেটরদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বলে জানালেন, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের সহকারী পরিচালক মহিবুল ইসলাম। বাগেরহাটে পর্যটন শিল্পের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে তা সমৃদ্ধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Sumyia/sharif