গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি: ক্ষুদ্র শিল্পে দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত: ০১-০২-২০২৩ ১৩:৫১

আপডেট: ০১-০২-২০২৩ ১৫:৩২

তানজিলা নিঝুম: ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য গ্যাসের দাম বড় শিল্পের তুলনায় প্রায় আড়াইগুন বাড়ানোয় দুশ্চিন্তায় পড়েছে এ খাতের ব্যবসায়ীরা। এতে বাড়বে উৎপাদিত পণ্যের দামও। আবার খরচ বহন করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করে দেয়ার আশংকাও করছেন কেউ কেউ। তাই গ্যাসের দাম ধাপে ধাপে বাড়ানোর দাবি জানান ক্ষুদ্র শিল্পের ব্যবসায়ীরা। সংকট মোকাবেলায় অভ্যন্তরীন উৎস থেকে গ্যাস উৎপাদনের সুযোগ তৈরিতে সরকারকে মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। 

বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন ডলার সাশ্রয়ে খোলাবাজার থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আনা গত জুলাইয়ে বন্ধ করে দেয় সরকার। দেশেও গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরবরাহে– সংকট দেখা দেয়। উৎপাদন ঠিক রাখতে বৃহৎ শিল্প মালিকরা বাড়তি দামে গ্যাস আমদানির দাবি জানায় সরকারের কাছে। এরপরই গ্যাসের দাম পুণ:নির্ধারণ করে সরকার। যা বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য প্রতি ইউনিট ৩০ টাকা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে আগে ছিল ১০ টাকা ৭৮ পয়সা। বেড়েছে  প্রায় তিনগুন।

পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাসের বর্ধিত দাম কার্যকর হয়েছে। এই বাড়তি মূল্য দিতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়বে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প। সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তারাা।

সব শিল্পের জন্য গ্যাসের একই দাম নির্ধারণ করা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।  

দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। সরবরাহের সক্ষমতা আছে ৩৭৬ কোটি ঘনফুট। আর এখন গড়ে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৬৬ কোটি ঘনফুট। 

 

Nijhum/prabir