তানজিলা নিঝুম: বছরের প্রথম মাসেও স্বস্তির খবর মিলেছে বৈদেশিক আয় ও রপ্তানি আয়ে। জানুয়ারি মাসে দেশের প্রধান এই দুই আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। প্রবাসি আয় এসেছে ২শ’ কোটি ডলারের কাছাকাছি। রপ্তানি আয় হয়েছে ৫শ’ ১৩ কোটি ডলার। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আরো কিছুদিন প্রণোদনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তাহলে দেশে মার্কিন ডলারের সংকট কেটে যাবে বলেও আশাবাদ জানান তারা।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার মূল যোগান আসে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় থেকে। কয়েকবছর ধরেই এ দুই আয়ের গতি ঊর্ধ্বমুখি। রিজার্ভও ছিল স্বস্তিদায়ক। তবে বিশ^মন্দার কারণে গতবছর থেকে বৈদেশিক আয়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। বৈদেশিক আয় বাড়াতে সরকার হাতে নেয় নানা উদ্যোগ। গত কয়েকমাস ধরে এর সুফল মিলছে।
গতবছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে প্রবাসী আয়ে কিছুটা নিম্নমুখী থাকলেও নভেম্বর মাস থেকে বাড়তে শুরু করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, জানুয়ারি মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর ডিসেম্বর মাসে ছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। সে হিসেবে জানুয়ারিতে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার বেশি এসেছে।
গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক তিন-তিন শতাংশ। জানুয়ারি মাসে রপ্তানি আয় আসে ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার। প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক আট-নয় শতাংশ। গত তিন মাস ৫ বিলিয়ন ডলাারের বেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
বৈধ পথে প্রবাসী আয় দেশে পাঠাতে সরকারি প্রনোদণা প্রদান ও বিলাসবহুল পণ্য আামদানী নিরুৎসাহিত করে রপ্তানিতে সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্তের সুফল মিলছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম খান। এ দুই আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বাড়বে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
প্রবাসী আয়ের চিত্র
মাস প্রবাসী আয়(মার্কিন ডলার)
নভেম্বর’২২ ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ
ডিসেম্বর’২২ ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ
জানুয়ারি’২৩ ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ
প্রবাসী আয় বেড়েছে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার
রপ্তানি আয়ের চিত্র
মাস রপ্তানি আয়(মার্কিন ডলার)
নভেম্বর’২২ ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার
ডিসেম্বর’২২ ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার
জানুয়ারি’২৩ ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ
প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৮৯%
সূত্র: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
Nijhum/sharif