নিজস্ব প্রতিবেদক: মালয়েশিয়ায় চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানো যাচ্ছে না। চার বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে গেছে প্রায় ৫৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। যদিও চলতি অর্থ বছরে প্রায় আড়াই লাখ কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে দেশটি থেকে। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাওয়ার এমন ধীরগতির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ি করলেন জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার সদস্যরা। আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীতে এক মতবিনিময় সভায় তারা এ অভিযোগ করেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়া সরকারের সাথে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার পর, গেল বছরের ৮ই আগস্ট থেকে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া শুরু হয় দেশটিতে। ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর এই প্রক্রিয়া চলছে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি’র তথ্য অনুযায়ী ছয় মাসে মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানা গেছে মাত্র ৫৫ হাজার ৯শ’ জন। চুক্তি অনুযায়ী দেশটিতে বছরে ২ লাখ কর্মী পাঠানোর কথা। অর্থাৎ চাহিদার অর্ধেক শ্রমিকও পাঠানো যায়নি।
বায়রার সদস্যরা বলছেন, জনশক্তি রফতানিকারক বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর কাজটি নিয়ন্ত্রণ করায় এমনটি হচ্ছে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানী একটি হোটেলে বায়রা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তারা। তাদের অভিযোগ, বায়রার কার্যনির্বাহি কমিটিই এই শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।
এসময় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত রাখতে সাধারণ সদস্যদের সাথে একমত প্রকাশ করেন বায়রার সভাপতি। আশ্বাস দেন, নির্বাহি কমিটির কোন সদস্য সিন্ডিকেটে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Azmi/Bodiar