শরণার্থীর মৃত্যু: হাঙ্গেরিকে ৪০ হাজার ইউরো জরিমানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০১৬ সালে হাঙ্গেরির সীমান্তরক্ষীদের হাতে ২২ বছর বয়সী সিরিয় শরণার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দেশটিকে প্রায় ৪০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস-সিএইচআর। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডি-ডব্লিউ। 

মৃত ওই যুবকের জার্মানিতে বসবাসরত ভাই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দায়ী করেছেন তিনি। 

ইসিএইচআর মনে করে, হাঙ্গেরি তার ভাইয়ের বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘন করেছে। এছাড়াও, তার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করতেও ব্যর্থ হয়েছে দেশটি। 

আদালতের নথিতে দেখা যায়, ২০১৬ সালের পহেলা জুন চোরাকারবারিদের একটি নৌকায় করে সার্বিয়া থেকে তিজসা নদী পাড়ি দিয়ে হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করে মামলাকারী ওই ব্যক্তি ও তার ভাই । 

সীমান্তে পৌঁছলে হাঙ্গেরির সীমান্তরক্ষীরা তাদের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে এবং সার্বিয়ায় ফিরে যেতে বলে চিৎকার করতে থাকে। তারা ইরাকি পরিবারের শিশুদের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে ও কুকুর লেলিয়ে দেয় পুলিশ। 

মামলাকারী আরও জানান, তাদের বহন করে আনা নৌকাটি ততক্ষণে চলে যাওয়ায় সাঁতরে সার্বিয়ায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে শরণার্থীরা। এক সময় আবেদনকারী লক্ষ্য করেন, তার ভাই পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন এবং কাঁদানে গ্যাসের কারণে কাশছিলেন। এর দুদিন পর নদীতে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এই ঘটনার পরবর্তী কয়েক মাসে একই ধরনের শতাধিক ঘটনা নথিভুক্ত করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশন-ইউএনএইচসিআর। এই নথিতে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করা লোকদের সঙ্গে সহিংসতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। হাঙ্গেরির কট্টর ডানপন্থি সরকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দেশে প্রবেশ বা অন্য দেশে যাওয়ার জন্য চলাচলে বাধা দেয়ার ক্ষেত্রে কঠোর নীতি প্রয়োগ করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।