লাবণী গুহ: মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় ৪২ ধরণের ওষুধের দাম বেড়েছে। এবার আগাম কোন ঘোষণা না দিয়েই ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো দাম বাড়িয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। ওষুধ শিল্পের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটে কাঁচামাল আমদানি করতে বাড়তি খারচ লাগছে তাদের। সাথে উৎপাদন খরচ মিলে ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। ওষুধের বাড়তি দাম দিতে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা।
রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব শুকুর আলী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর স্ট্রোক করেন। তখন থেকেই শরীরের একদিক অবশ হয়ে যায়। চিকিৎসায় এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি। কিন্তু ওষুধ সঙ্গী হয়ে যায় তার। প্রতিদিন প্রয়োজন হয়, এমন ওষুধগুলোর দাম বাড়ায় বিপাকে তিনি।
শুকুর আলীর স্ত্রী রেজিনা বেগমেরও প্রতিদিন কিছু ওষুধ লাগে। ওষুধ কিনতে এই দম্পতির সংসারের অন্য খরচ কাঁটছাট করতে হচ্ছে।
সাধারণ জ্বর, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ব্যাথা, নিউরো সমস্যাসহ প্রায় ৪২ ধরণের ওষুধের দাম বেড়েছে। নাপা, এনজিলক, মনটেয়ার, মাপস এমন বহুল ব্যবহৃত ওষুধগুলোর দাম বেড়েছে প্রতি পাতায় ২ টাকা থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত।
আগাম নোটিশ ছাড়াই ওষুধের দাম বাড়ায় খুচরা ব্যবসায়ীদের প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ওষুধের বাড়তি দাম রোগীর জন্যও বাড়তি চাপ বলে মনে করেন বাংলাদেশ কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির পরিচালক বজলুর রহমান।
এদিকে, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ডলার সংকটে ওষুধের কাঁচামাল আমদানি করতে হচ্ছে উচ্চমূল্যে। ব্যাংকগুলোতে এলসি খুলতেও দেখা দিচ্ছে জটিলতা। ওষুধ শিল্পের জন্য প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি তাদের।
LGR/sat