মাবুদ আজমী : রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিনের বেলাতেও বাড়িঘরে মশার উৎপাত চলে। সন্ধ্যা থেকে মশার আক্রমণে ঘরে বাইরে তেষ্ঠা দায়। খোলা জায়গায় আরও বেশি। মশা মারতে সিটি করপোরেশেন তৎপরতা খুব বেশি দেখা যায় না। কোন কোন এলাকায় ওষুধ ছিটানো হলেও তাতে খুব একটা কাজ হয় না বলে অভিযোগ অনেকের। কিটতত্ত্ববিদরা বলছেন, কিউলেক্স মশা বেড়ে যাওয়ায় চিকনগুনিয়া রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
মাঘের শীতের তীব্রতা শেষে, ফাল্গুনের আগমনী বার্তায় বাড়ছে তাপমাত্রা। এরসাথে রাজধানীবাসীকে ভাবাচ্ছে মশার উপদ্রব। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রায় সব এলাকায় মশার উৎপাত বেড়েছে। দিন কিংবা রাত মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে নগরবাসী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গেলো বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে প্রায় আড়াই শ’ জন, যার বেশিরভাগই ঢাকায়। এ বছর বর্ষা মৌসুম আসার আগেই মশার এমন উপদ্রব ভাবাচ্ছে নগরবাসীকে।
রাজধানীর অভিজাত গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় মশার উৎপাত যেন বেশি। সন্ধ্যা নামলেই খোলা জায়গা মশার ভনভনানিতে মানুষের টেকা দায়। উচু ভবনেও মশার উৎপাত বলে জানান বাসিন্দারা।
কীটতত্ত¡বিদরা জানান, কিউলেক্স মশা সারা বছরই দেখা যায়। তবে নভেম্বর থেকে শুরু করে মার্চ পর্যন্ত এর উৎপাত বেশি। এখন যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা এই মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত। তাই সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কার্যক্রম বাড়ানোর দাবি নগরবাসীর।
কিউলেক্স মশার পাশাপাশি ডেঙ্গুর বাহক এডিসের প্রজনন স্থান ধ্বংসে নগর কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান রাজধানীবাসী।
Azmi/shimul