ফাহিম মোনায়েম: তিতাস গ্যাসের আবাসিক গ্রাহকদের নতুন প্রিপেইড মিটার দেয়া বন্ধ। সাড়ে ২৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে মাত্র তিন লাখ ২৮ হাজার গ্রাহক পেয়েছে প্রিপেইড মিটার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রিপেইড মিটারে গ্যাসের খরচ অনেক কমে যায় এবং চুরিও বন্ধ হয়। কিন্তু প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজে গতি নেই তিতাসের। তবে পর্যায়ক্রমে সকল সংযোগ প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
অপচয় রোধ এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সংরক্ষণ করে পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব বাড়াতে আবাসিক সংযোগে প্রিপেইড গ্যাস মিটার দেয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। ঢাকা মহানগর এলাকার আবাসিক খাতে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৬০০টি প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
যার সুবিধাও পাচ্ছেন গ্রাহকরা। প্রিপেইড মিটারে খরচ ও গ্যাসের ব্যবহার দুটোই অনেক কম। বিল দিতে যেতে হয়না কোন ব্যাংকে।এজেন্ট দোকানে গিয়ে কার্ডরিচার্জ করতে পারছেন গ্রাহকরা।
তবে প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ খুবই ধীরগতিতে চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাড়ে ২৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে মাত্র তিন লাখ ২৮ হাজার ৬০০ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় এনেছে তিতাস গ্যাস কোম্পানী। গ্রাহকের খরচ কমে যাওয়া, গ্যাসের অপচয় রোধসহ অসংখ্য সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রিপেইড গ্যাস মিটার বসানোয় তেমন আগ্রহ নেই কর্তৃপক্ষের।
নতুন করে প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ বন্ধ রয়েছে। অর্থায়নের অভাবে মিটার দেওয়া হচ্ছে না এবং নতুন আবেদনও নেয়া হচ্ছে না বলে জানালেন, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।
প্রায় এক দশক আগে প্রিপেইড মিটার বসানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলার আওতায় ৬টি প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ লাখের কিছু বেশি মিটার বসানো হয়েছে।
FM/sharif