খাদ্যপণ্যের অবৈধ মজুতের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড!

প্রকাশিত: ১৮-০২-২০২৩ ১৫:৩৯

আপডেট: ১৮-০২-২০২৩ ১৫:৫৩

তানজিলা নিঝুম: ধান-চালসহ খাদ্যদ্রব্যের অবৈধ মজুত করলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান করতে যাচ্ছে সরকার। এছাড়া সরবরাহ, বিপনন ও বিক্রয়ে অনিয়মে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানাসহ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে সরকার। এটি বাস্তবায়ন হলে বাজারে খাদ্য সরবরাহ ও বাজার ব্যবস্থপনায় শৃংখলা ফিরে আসবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তবে চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা এ আইন বাস্তবায়নের পক্ষে নয়। 

বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে কয়েক বছর ধরেই খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন আইনের বিষয়টি আলোচনায় ছিল। মন্ত্রিসভা এ সংক্রান্ত প্রচলিত ২টি আইন একত্রিত করে নতুন আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় গতবছর ১৮ই এপ্রিল। গত ১৯শে জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করে অংশীজনদের মতামত চাওয়া হয়।

ধান-চাল অবৈধ মজুত করলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। এছাড়া সরবরাহ ও বিপননে অনিয়ম হলে ১০ লাখ টাকা জরিমানাসহ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এই আইন নিয়ে আপত্তি তুলেছে চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

খসড়াটি প্রত্যাহার করে ব্যবসাবান্ধব আইন করার দাবি জানান নওগাঁ চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার ও নওগাঁ ধান্য-চাল ও আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন। 

তবে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনায় খাদ্য মজুত আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম খান। এই আইন কার্যকর হলে অবৈধভাবে খাদ্যদ্রব্য মজুত করার প্রবণতা কমে আসবে এবং বিপনন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশা করছেন তিনি।

Nijhum/sharif