নিজস্ব প্রতিবেদক: এবছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। আজ (রোববার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
এসময় তিনি বলেন, 'জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এবছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষের দিকে না করে প্রথম দিকে করা। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিটি ভোট শেষ করব'।
মো. আলমগীর বলেন, 'সব সিটির ভোট একদিনে হবে না। পাঁচটার ক্ষেত্রে হয়ত দুই দিনে হতে পারে, তিন দিনে হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত দিন-তারিখ ঠিক বা চূড়ান্ত হয়নি'।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল নিয়ে এখন পর্যন্ত কমিশনে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনার বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) করার ইচ্ছা আছে। তবে এটা কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর। কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির পরবর্তী ভোটেফ ক্ষণগণনা শুরু হবে চলতি মাসের ১১ মার্চ। ১০ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
খুলনা ও রাজশাহী সিটির ক্ষণগননা শুরু হবে ১৩ই এপ্রিল। সেক্ষেত্রে ১০ই অক্টোবরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বরিশাল সিটি ভোটের ক্ষণগননা শুরু হবে ১৪ই মে থেকে ১৩ই নভেম্বর।সিলেট সিটি ৬ই মে থেকে পরবর্তী নির্বাচনের ক্ষণগননা শুরু হবে। ৬ নভেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মো. আলমগীর বলেন,' গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি আমাদের। যেটা আলোচনা হয়েছিল গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট এইগুলোর নির্বাচনগুলো সেগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে করতে হয়।'
ইচ্ছা করলে ৬ মাসের মধ্যে শেষ করা যায়। মাঝামাঝি করা যায় আগেও করা যায় জানিয়ে তিনি বলেন, 'যেহেতু আমাদের জাতীয় নির্বাচন আছে এবছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষের দিকে না করে প্রথম দিকে করা'।
১১ই মার্চ থেকে ১০ই সেপ্টম্বরে গাজীপুরে ভোটের সময় জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, 'যে কোনো সময়ে নির্বাচন হতে পারে। সেই হিসেবে যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেজন্য নির্বাচনগুলো আর্লি (আগে) করার চেষ্টা করবো। মার্চের পরে যে কোনো সময় নির্বাচন হতে পারে'।
চার সিটির ভোট একদিনে হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, 'একদিনে হবে না। ৬টা সিটি আছে। তার মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনেক দেরি। ওটাকে আমরা ধর্তব্যের মধ্যে আনছি না। বাকি পাঁচটার ক্ষেত্রে হয়তো দুই দিনে হতে পারে। তিনদিনে হতে পারে'।
জুন মাসের মধ্যে দুই সিটিতে ভোট করার ইচ্ছা প্রকাশ করে মোঃ আলমগীর বলেন, 'করার ইচ্ছা আছে। তবে এখন পর্যন্ত দিন তারিখ ঠিক হয় নাই। চূড়ান্ত কিছু হয় নাই। যেগুলো আগে ম্যাচিউরিটি (ক্ষণগননা) শুরু হবে সেগুলো আগে হবে'।
সিটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, 'এটি নির্ভর করবে অর্থ বরাদ্দের ওপর'।
KFA/sharif