আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপার্টের তালিকায় এক নম্বরে স্থান পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট। কর ও অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্টের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বের ২০০টি দেশের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা, বিদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের ওপর নির্ধারিত কর, দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতাসহ পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই পাসপোর্ট সূচক তৈরি করেছে নোমাড ক্যাপিটালিস্ট। তবে শক্তিশালী পাসপোর্টের এই সূচকে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ১৮২তম স্থানে রয়েছে।
নোমাড ক্যাপিটালিস্টের তথ্য অনুযায়ী, এই সূচকে ৩৭ দশমিক ৫০ স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১৮২তম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় বিশ্বের ৪৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
গবেষনায় দেখা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুবিধার পাশাপাশি দেশটির দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ও কোনও ধরনের আয়কর প্রদান না করার মতো বিষয়গুলো আমিরাতের পাসপোর্টকে সবচেয়ে শক্তিশালী বানিয়েছে।
নোম্যাডের সূচকে ১১০ দশমিক ৫ স্কোর পেয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী নির্বাচিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট। এছাড়া ১০৮ স্কোর পেয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় শক্তিশালী নির্বাচিত হয়েছে লুক্সেমবার্গ ও সুইজারল্যান্ডের পাসপোর্ট। সূচকে যৌথভাবে তৃতীয় শক্তিশালী পাসপোর্টের তকমা পেয়েছে পর্তুগাল ও আয়ারল্যান্ড। এই দুই দেশের স্কোর ১০৭ দশমিক ৫। পঞ্চম স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের পাসপোর্ট; দেশটির স্কোর ১০৬ দশমিক ৫।
নোমাড ক্যাপিটালিস্টের এই সূচকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট ৪৩তম স্থানে রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্য ৩০তম এবং অস্ট্রেলিয়া ৩৯তম স্থানে রয়েছে।
পাসপোর্টের এই সূচক নির্ধারণে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের পাসপোর্টধারীদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সুবিধাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হিসাবে ধরে নেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও সূচকে নাগরিকদের ওপর আরোপিত করের হার, দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ এবং বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ভোগের ওপরও জোর দেওয়া হয়।
Prottay/shimul