এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফেরেনি তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ

প্রকাশিত: ০৬-০৩-২০২৩ ১৪:৩০

আপডেট: ০৬-০৩-২০২৩ ১৪:৫৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার এক মাস পেরুলো আজ (সোমবার)। গত ৬ই ফেব্র“য়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের ১০টি ও সিরিয়ার ৪টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাণ হারান ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর, ১৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। যারা বেঁচে গেছেন, তারা এখন লড়ছেন টিকে থাকার জন্য। বাড়িঘর হারিয়ে এক মাস ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এখনও বহু মানুষের জরুরি সহায়তার প্রয়োজন।

একের পর এক ভূমিকম্পে ভয়াবহ একটি মাস পার করলো তুরস্ক ও সিরিয়ার মানুষ। যারা বেঁচে গেছেন, এখন তাদের চলছে টিকে থাকার প্রাণপণ লড়াই। স্বজন হারিয়ে, সর্বস্ব হারিয়ে এখন নিঃস্ব এসব মানুষ। 

রয়েছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে। তাদের গুরুতর সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো বেঁচে থাকার জন্য কোথাও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাওয়া। কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে এক মাস ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। চিকিৎসা সামগ্রীর স্বল্পতা, বিশুদ্ধ পানির অভাব, কলেরার বিস্তারসহ নানামুখী সংকটে দুর্বিষহ দিন কাটছে।

গত ৬ই ফেব্র“য়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের ১০টি ও সিরিয়ার ৪টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক মাস পরও চলছে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মরদেহের সন্ধান। অনেকে খুঁজছেন স্বজনদের। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লাখ লাখ টন কংক্রিটের এই স্তূপ সরাতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।

তুরস্কের দুর্গত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ ভবনই ছিল বেশ পুরনো। নতুনগুলোতেও মানা হয়নি সুরক্ষা বিধিমালা। যদিও ভবন নির্মাণে গাফিলতির কারণে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে  গ্রেপ্তার  করেছে প্রশাসন।

বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ভূমিকম্পে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে তুরস্কের। দেশটির অর্থনীতিতে দুর্যোগের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দুর্গত এলাকাগুলো পুনর্গঠনেও খরচ হবে বিপুল অর্থ।

এদিকে, ভূমিকম্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে তুরস্কের সরকার। উদ্ধার অভিযানে ধীরগতির অভিযোগও রয়েছে। 

 

AAJ/Bodiar