যশোর সংবাদদাতা : আজ উদীচী ট্রাজেডি দিবস। ১৯৯৯ সালে আজকের এই দিনে যশোর টাউন হল মাঠে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলা হয়। ২৪ বছরেও ঘাতকরা চিহ্নিত হয়নি। শেষ হয়নি বিচারকাজ।
এই অনুষ্ঠানে বাউল গানের আসরে হঠাৎ দু'দফা বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১০ জন সাংস্কৃতিক কর্মী ও দর্শক প্রাণ হারানোর পাশাপাশি আহত হন আড়াই শতাধিক নিরীহ মানুষ। আড়াই শতাধিক আহতের মধ্যে অনেকেই স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেন। ওই ঘটনার পর হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরণ নিয়ে আলাদা দু'টি মামলা হয়। মামলার তদন্ত করে সিআইডি।
২০০৬ সালের ৩০শে মে মামলার রায়ে সব আসামিকে খালাস দেয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে সরকার। মামলাটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়ার পর পুলিশের হাতে আটক হওয়া দেশের আলোচিত জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান জবানবন্দিতে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলার কথা স্বীকার করে। তার জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে এই মামলার পুনঃতদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়।
এরপর মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু এরপর মামলাটির আপিল শুনানি আর হয়নি। আটকে আছে আইনের বেড়াজালে।
উদীচী ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর যশোর টাউন হল ময়দানে প্রতিবাদী গান, আলোচনা সভা ও শহীদ বেদিতে পুষ্প অর্পণ, মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
Priyonty/sharif