রীতা নাহার: নতুন শিক্ষা বর্ষের তিন মাস পার হয়েছে। এখনও সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছেনি। কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এখনও বই ছাপার কাজ করছে। নতুন পাঠ্যবই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানে না জাতীয় পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা বোর্ড- এনসিটিবি। সংস্থাটির চেয়ারম্যান জানান, স্কুলে বই পৌঁছাতে কিছু ক্ষেত্রে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের গাফিলতি পাওয়া গেছে।
জয়পুরহাটের অনেক শিক্ষার্থী এখনও সব পাঠ্যবই হাতে পায়নি। স্কুল পর্যায়ে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণি এবং মাদ্রাসার ৭ম, ৯ম ও দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পায়নি সব বই। এরমধ্যে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১২টি বইয়ের পেয়েছে মাত্র ছয়টি। এমন চিত্র দেশের বিভিন্ন জেলায়।
জয়পুরহাট জেলায় ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৪২২টি বইয়ের চাহিদা থাকলেও এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পেয়েছে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৯টি বই।
এদিকে, ঢাকার মাতুয়াইলে ঘুরে দেখা গেছে মার্চ মাসেও বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপার কাজ করছে একটি প্রকাশনা সংস্থা। এখানে নবম শ্রেণির বই ছাপার কাজ চলছে। অগ্রণী প্রকাশনীর বই ছাপা চলছে এই প্রেসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকাশকদের সংগঠন মুদ্রণ শিল্প সমিতির উপদেষ্টা তোফায়েল খান জানান, এটা নিয়মের ব্যত্যয়। প্রকাশকদের হিসেবেই এখনও অন্তত দুই কোটি বই পৌঁছায়নি শিক্ষার্থীদের হাতে।
সরকার ঘোষিত সময় পার হয়েছে ৩১শে জানুয়ারি। নিয়ম ভেঙে এখনও বই ছাপার কাজ চললেও এনসিটিবির চেয়ারম্যান উপদেষ্টা বলছেন, এমন তথ্য তাদের কাছে নেই।
KNR/shimul