পার্থ রহমান: দেশের অনাবাদী কৃষি জমি চাষের আওতায় আনার বিশেষ কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। লক্ষ্য- ফসল উৎপাদন বাড়ানো ও মানুষের খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করা। পরীক্ষামূলকভাবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় প্রায় চার দশক ধরে অনাবাদি পড়ে থাকা একশ বিঘা জমিতে আবাদ শুরু করেছে কৃষি বিভাগ। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেখানে বারো মাসি সবজি আর উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পূর্ব দিকের বিলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রায় বছর জুড়েই পানির নিচে থাকে। ফলে সারা বাছরই অনাবাদী থাকে। ৩৫ বছর ধরে কচুরিপনা আর ঘাস-পাতায় ছেয়ে থাকা বিলের অনাবাদি জমিতে এখন সবুজ ফসলের ঢেউ খেলে।
এই বদলে যাওয়ার গল্পটা শুরু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। এই বিলেই শেখ হাসিনার পৈত্রিক জমি রয়েছে ২২ বিঘা। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তার ২২ বিঘাসহ বিলের ১০০ বিঘা জমিতে আবাদ করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কথা মাথায় রেখে খাদ্যের যোগান বাড়াতে দেশের এক ইঞ্চি জমি যাতে অনাবাদি না থাকে সেজন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আহবানে এবং তারই নির্দেশে পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করা হচ্ছে বলে জানান জেলার কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা নিতুল রায়।
কোটালী পাড়া এবং টুঙ্গিপাড়ায় এবছর প্রায় ২০০ একর জমি ও বিভিন্ন খাল বিলে বিশেষ প্রযুক্তির চাষাবাদে ৬ কোটি টাকারও বেশী ফসল উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের সার্বক্ষনিক খবর রাখছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত সাবেক আমলা শহীদ উল্লা খন্দকার।
পর্যায়ক্রমে গোটা দেশের অনাবাদী জমিতে চাষাবাদ করা হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
MRP/shimul