রীতা নাহার: চলতি বছর সময়মত স্কুলের সব শিক্ষার্থীর হাতে সব পাঠ্যবই তুলে দিতে পারেনি এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ। এই তিক্ত অভিজ্ঞতায় আগামী শিক্ষাবর্ষে নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ শেষ করতে চায় সরকারি এই প্রতিষ্ঠান। এরইমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণীর বই ছাপার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। পরিমার্জন প্রক্রিয়ায় রয়েছে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বই।
কাগজের সংকট, ডলার সংকটসহ নানা জটিলতায় চলতি বছর পাঠ্যবই ছাপার কাজ বিঘ্নিত হয়। এতে সময় মতো সকল পাঠ্যবই পায়নি স্কুল পর্যায়ের সব শিক্ষার্থী। শেষ মুহূর্তে এনসিটিবি’র আগের বছরের পুরনো বই প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয়েছে নতুন বই। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাগজ ও ছাপার মানেও ছাড় দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি।
কাগজের সংকট এড়াতে এরইমধ্যে কাগজ উৎপানকারীদের সাথে একাধিক বৈঠক করেছে এনসিটিবি। নির্ধারিত মান ও সময়ও বেঁধে দেয়া হয়েছে। দরপত্র আহ্বানও শুরু করেছে আগেভাগেই।
প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিকের কয়েকটি বই ছাপার দরপত্র এরইমধ্যে আহবান করা হয়েছে। মাধ্যমিকসহ বাকি সব শ্রেনীর বইয়ের দরপত্র আহ্বান শেষ হবে এপ্রিল নাগাদ। আগামী অক্টোবরেই ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ শেষ করার পরিকল্পনান কথা জানান এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম।
এ বছর বিষয়বস্তু নিয়ে নানাভাবে বিতর্কিত ছিলো ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বই। এগুলো পরিমার্জনের প্রক্রিয়া চলছে। মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদেরও সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান, এনসিটিবি চেয়ারম্যান।
KNR/shimul