কালের সাক্ষী কিশোরগঞ্জের জমিদার বাড়ি

প্রকাশিত: ১৯-০৩-২০২৩ ০৮:৪৫

আপডেট: ১৯-০৩-২০২৩ ০৯:০৯

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চার’শো বছরের প্রাচীণ দৃষ্টিনন্দন গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি। জমিদারি প্রথা বিলীন হলেও এ বাড়িতে এখনও বসবাস করছেন, জমিদার অতুল চক্রবর্তীর বংশধররা। দেশ-বিদেশের শত শত পর্যটক ঘুরতে আসেন সবুজে ঘেরা ছায়া-সুনীবিড় এ জমিদার বাড়িতে।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গাঙ্গাটিয়া এলাকায় ষোড়শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয় এই জমিদার বাড়ি। গ্রিক স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত এই জমিদার বাড়ির সামনে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। সেখান থেকে প্রবেশ করলেই পড়বে মেঠো পথ, এরপর সুবিশাল প্রাচীন জমিদার বাড়ি। শুধু শৈল্পিক কারুকার্য খচিত স্থাপনাই নয়, চারদিকে ছায়াঘেরা শত শত গাছগাছালি আর ফুলের বাগান দৃষ্টি কাড়ে দর্শনার্থীদের।

প্রায় ১০ একর এলাকাজুড়ে জমিদার বাড়িতে রয়েছে প্রাসাদতুল্য অট্টালিকা, দরবারগৃহ, বৈঠকখানা, নহবতখানা, অতিথি কক্ষ, সংগীতচর্চা কক্ষ ও মন্দির। কক্ষের ভেতর রয়েছে কারুকাজ খচিত খাট, পালংকসহ নানা আসবাবপত্র। সান বাঁধানো পুকুর ঘাটও নজর কাড়বে যেকারো। জমিদারবাড়িটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করে শত শত পর্যটক।

জমিদার অতুল চক্রবর্তীর প্রতিষ্ঠিত এই বাড়িটিতে এখন বাস করেন তাঁর বংশধর মানবেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী। তাঁর নামেই এটি এখন ‘মানব বাবুর বাড়ি ’ হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হামলায় মারা যান তাঁর বাবা ভূপতি চক্রবর্তী ও পরিবারের বেশ কয়েকজন। এরপর পরিবারের সবাই ভারতে চলে গেলেও ভালোবাসার টানে এখানে রয়ে যান তিনি।

বাড়ির বেশ কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বেশিরভাগ অংশই সংস্কার করা হয়েছে। শহরের কোলাহল থেকে খানিক অবসর কাটাতে অনেকেই ছুটে আসেন এই জমিদার বাড়িতে।

 

Laiza/Bodiar