আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্থানীয় শিল্প ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে স্পেনে প্রতিবারের মতে এবারও উদযাপিত হচ্ছে বার্ষিক ‘ভ্যালেন্সিয়া ফ্যালাস’ উৎসব। এবারের উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ আতশবাজি ও দৈত্যাকার কাগজের মূর্তির প্রদর্শনী। সেইসাথে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী প্যারেড শো ও গানের আয়োজন। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের সমাপনী দিন আজ। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ শহরটিতে ভীড় বেড়েছে উৎসবপ্রিয় মানুষের।
বসন্তকে বরণ করে নিতে উৎসবে মেতেছে স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া শহরের বাসিন্দারা। ঐতিহ্য ও শিল্পকে তুলে ধরতে প্রতি বছরের মতো এবারও জাঁকজমকভাবে পালন করা হচ্ছে ‘ভ্যালেন্সিয়া ফ্যালাস’ উৎসব। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের আজ শেষ দিন হওয়া সত্ত্বেও এতটুকুও কমেনি উৎসবের আমেজ।
বাহারি আলোকসজ্জায় সেজেছে ভ্যালেন্সিয়া শহরের অলিগলি। রাস্তায় শোভা পাচ্ছে রঙিন কাগজের দৈত্যাকার মূর্তি বা পাপেট। নান্দনিক এসব শিল্পকর্ম প্রদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ঘটনা ও সামাজিক অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরেন কারিগররা। কাগজে বানানো এই শিল্পকর্মগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশপাশি ঘুরে ঘুরে দেখছেন পর্যটকরাও।
পুতুল প্রদশর্নী ছাড়াও নিজেদের ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে তুলে ধরতে মানব আকৃতির ঐতিহ্যবাহী কাঠের পুতুল পোড়ানো হয় এই উৎসবে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত ফ্যালাস বা আয়োজকদের প্যারেড শো। এই প্যারেডে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে অংশ নেয় শিশুরাও।
এছাড়াও রয়েছে আতশবাজি, লাইটিং শো ও ব্যান্ড শো। রয়েছে ‘পায়েলা’ নামে বিশেষ এক ধরণের ঐতিহ্যবাহী খাবারের ব্যবস্থা। ২০১৬ সালে এই উৎসবকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো। প্রতি বছর আতশবাজি ও পটকা ফুটানোর মাধ্যমে মার্চের শুরুতেই এই উৎসবের আমেজ শুরু হয়। মূল উৎসব চলে ১৫ থেকে ১৯শে মার্চ পর্যন্ত।
aleya/sharif