মাবুদ আজমী: দেশে দিন দিন পানির সংকট বাড়ছে। ভূমির ওপরের পানির উৎস যেমন কমছে, তেমনি আশঙ্কাজনকহারে নেমে যাচ্ছে ভূ-গর্ভের পানির স্তরও। গবেষকরা বলছেন, দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বছরে তিন মিটার নেমে যায়। বাকি ২৫ ভাগ এলাকায় নামে ১০ মিটার পর্যন্ত। অথচ দেশের গৃহস্থালি ও খাবার পানির ৯৪ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে। এতে দেশের মানুষ সুপেয় পানির সংকটে পরতে যাচ্ছে বলে আশংকা গবেষকদের।
সারাদেশে গৃহস্থালী ও খাবার পানির চাহিদার ৯৪ শতাংশই আসে ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে। গভীর ও অগভীর নলকূপ দিয়ে মাটির নিচে থেকে পানি তুলে এই চাহিদা মেটানো হয়। ভূগর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে।
সরকারি হিসেবেই দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকার মানুষ সুপেয় পানির বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ৫৯ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে। ৪১ শতাংশ মানুষ এই সুবিধার বাইরে। এখনো দেশের ১০ ভাগ মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে।
গবেষকরা বলছেন, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে কেবল বোরো মৌসুমে সেচের পানির ৭৫ ভাগের যোগান আসে ভূ-গর্ভস্থ উৎস থেকে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যমতে, দেশে মোট ব্যবহৃত পানির প্রায় ৭৯ শতাংশ ভূগর্ভস্থ ও ২১ শতাংশ ভূ-উপরিভাগের।
২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে সুপেয় পানির চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ হাজার কোটি লিটারে। এই চাহিদা পুরণে এখন থেকে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Azmi/shimul