কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ গ্রামের ‘মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগার’। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সুশিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আড্ডার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে পাঠাগারটি। এতে খুশি স্থানীয়রা। পাঠাগারটি চালু রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
২০১১ সালে কিশোরগঞ্জ সদরের মহিনন্দ গ্রামে নিজ বাড়িতে ‘পাঠাগার’ গড়ে তোলেন লেখক ও গবেষক আমিনুল হক সাদী। পরে নীলগঞ্জ-তাড়াইল সড়ক সংলগ্ন নিজ জমিতে ঘর বানিয়ে পাঠাগারটি সেখানে স্থানান্তর করেন। ‘মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের’ আলোয় আলোকিত হচ্ছে গ্রামের মানুষ।
নিজের ও অন্যের কাছ থেকে পাওয়া বই দিয়ে গড়ে তোলা পাঠাগারটি ১২ বছর পার করেছে। সাহিত্য, রাজনীতি, দর্শন, ধর্ম, শিশু কিশোর পাঠসহ প্রায় সব শ্রেণীর বইয়ের সম্ভার রয়েছে এখানে। দুর্লভ বই খুঁজতে যেমন শিক্ষার্থীরা আসছেন, তেমনি সাংস্কৃতিক আড্ডার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে পাঠাগারটি।
প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে পাঠাগার। আর প্রতি শুক্রবার সকালে চলে পাঠচক্র। জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার লক্ষ্যে এই পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানালেন, এর প্রতিষ্ঠাতা লেখক ও গবেষক আমিনুল হক সাদী।
মানুষকে বইমুখী করতে তাঁর এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় প্রশাসন। সরকারি বই ও অনুদান দিয়ে পৃষ্টপোষকতার আশ্বাসও দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। মাদক ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে পাঠাগার বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে এলাকার সচেতন মহল।
Laiza/sharif