মাবুদ আজমী: গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা মেটাতে বন্ধ বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো চালু করেছে সরকার। গ্যাসভিত্তিক এসব কেন্দ্র থেকে প্রায় ৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। এপ্রিল-মে মাসে প্রতিদিন ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এর বেশি চাহিদা হলে কিছুটা লোডশেডিং হতে পারে বলেও জানান পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক।
জ্বালানি সংকটে গত বছর গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সরকার বন্ধ রাখায় প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের ঘাটতি হয়। ফলে ঢাকাসহ সারাদেশে লোডশেডিং বেড়েছিল। তবে এ বছর জ্বালানি সংকট ধীরে ধীরে কাটছে। এলএনজি আমদানি শুরু হয়েছে। উৎপাদনে এসেছে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
বর্তমানে সারাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা নয় থেকে সাড়ে নয় হাজার মেগাওয়াট। এপ্রিলে এই চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াটে।
সেই চাহিদা পূরণে আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরইমধ্যে গত বছর বন্ধ থাকা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো চালু করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত পাওয়ার আশা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াট আসবে ফার্নেস অয়েল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।
পায়রা, এবং রামপালে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে এ বছর আরো প্রায় সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত যোগ হয়েছে জাতীয় গ্রিডে। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪শ’ মেগাওয়াটের এবং ভারতের আদানি গ্র“পের কাছ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতও যোগ হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্য আছে বলে জানালেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।
তবে গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ ১৬ হাজার মেগাওয়াট হতে পারে। তাতে ৫শ’ থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকবে বলেও জানান তিনি।
পিডিবি’র তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাড়ে ২৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন সক্ষমতা আছে।
Azmi/shimul