নূরে আলম সিদ্দিকী আর নেই

প্রকাশিত: ২৯-০৩-২০২৩ ০৯:০৯

আপডেট: ২৯-০৩-২০২৩ ২১:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন। ইন্নাইলাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বুধবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধার। ইতিহাসের কিংবদন্তী সাবেক এই ছাত্রনেতা ভাষা আন্দোলন, ছয়দফাসহ সকল স্বাধীকার আন্দোলনের সক্রিয় চার খলিফার একজন তিনি। তাঁর মুত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানাজার জন্য মরদেহ গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে নেয়া হয়েছে।

একে একে নিভে যাচ্ছে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে আলোকবর্তিকা। ভাষা আন্দোলন, ছয়দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানসহ মুক্তিযুদ্ধের সব আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সাথে থেকে গর্জে উঠেছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী। হয়ে উঠেছিলো বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার একজন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সেই সাহসী সংগঠক বুধবার ভোররাতে পারি জামিয়েছেন পরপারে। ৮৩ বছর বয়সে বুধবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান নূরে আলম সিদ্দিকী।

হেলিকপ্টারে তার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের চাকলাপাড়ায়। সেখানে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে প্রথম নামাজে জানাজা হবে জোহর নামাজের পর। এরপর মরদেহ আনা হবে ঢাকায়, গুলশানের আযাদ মসজিদ প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রীয় সম্মান- গার্ড অব অনার দেয়া হবে নূরে আলম সিদ্দিকীকে। পরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দেহ নেয়া হবে সভারে।

নূরে আলম সিদ্দিকী ১৯৪০ সালের ২৬মে ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র অবস্থাতেই তিনি রাজনীতি এবং বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠ সহচর হয়ে তারা সাথে বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেন নূরে আলম সিদ্দিকী। স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্তাল সময়ে ১৯৭০ থেকে ৭২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সহসী এই সংগঠক সুবক্তাও। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ছিলেন সোচ্চার। লেখালেখিও করেছেন। নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। 

নূরে আলম সিদ্দিকী দুই ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের পিতা ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, সন্তানসহ এবং অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। তার ইচ্ছে অনুযায়ি সভারে নিজের করা মসজিদের পাশে সমাহিত করা হবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নুরে আলম সিদ্দকীকে।

 

MNU/shimul