ক্ষমা চাইল দ্য গার্ডিয়ান

প্রকাশিত: ২৯-০৩-২০২৩ ১৭:২৯

আপডেট: ২৯-০৩-২০২৩ ১৭:২৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের সাথে দাসপ্রথার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমা চেয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। উনিশ শতকে শুরু হওয়া এই গণমাধ্যমটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডওয়ার্ড টেইলর ও ১১জন পৃষ্ঠপোষকের দাস প্রথার সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি। দুই বছরের এই গবেষণায় কাজ করেছেন যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ও হাল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। 

মঙ্গলবার প্রকাশ পায় দ্য স্কট ট্রাস্ট লিগেসিস অব এনস্লেভমেন্ট রিপোর্ট নামের সেই প্রতিবেদনটি। প্রতিবেদনে দেখা যায় ১১জন প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষকের মধ্যে অন্তত নয়জন ট্রান্স আটলান্টিক দাস প্রথার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বস্ত্রশিল্পের সাথে জড়িত থাকার কারণে দাসপ্রথার সাথেও জড়িয়ে পড়েন তারা। 

এ তথ্য সামনে আসায় দুই শতকের বেশি সময় পর ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় ও দাসদের বর্তমান বংশধরদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে সংবাদমাধ্যমটির কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে গার্ডিয়ানের প্রথম দিকের সম্পাদকীয় অবস্থানের জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি তহবিল করেছে দ্য গার্ডিয়ান। গার্ডিয়ানের মালিক স্কট ট্রাস্ট জানিয়েছে, ১ কোটি ২৩ লাখ ডলারের এই তহবিলের অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বর্তমান বংশধরদের জন্য ব্যয় করা হবে। 

১৮২১ সালে প্রথম প্রকাশ পায় দ্য গার্ডিযান। সেসময় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের মানুষদের দাস হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তাই এ অঞ্চলের খবর আরও বেশি প্রচার-প্রকাশ করবে গার্ডিয়ান। এ জন্য নতুন সম্পাদকীয় নীতিমালা করার ঘোষণা দিয়েছে স্কট ট্রাস্ট। এ ছাড়া  কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিকদের দেয়া হবে বৈশ্বিক ফেলাশিপ।

 

shamima/Bodiar